জাতির সেবা, প্রতিকূল পরিবেশে হাল ধরা, দুর্যোগ-দুর্দিনে গণমানুষের সহায়তা দানের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
বর্ন্যায় কবলিত মানুষের পাশে দাড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে জাতির কাছে প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ চৌধুরী সহ দলের নেতা কর্মীরা। গত ৩-৪ দিনে চন্দনাইশ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সে সময় ঘরে বসে না থেকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্য আব্দুল কৈয়ুম চৌধুরী’র নেতৃত্বে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ছুটে যান প্রতিটা গ্রামে গ্রামে।
এর আগেও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চন্দনাইশ উপজেলার নেতাকর্মীরা যুগে যুগে বাঙালি জাতির ভাগ্যে যখনই নেমে এসেছে দুর্যোগের ঘনঘটা, দুর্দিনের কালো মেঘ, তখনই এগিয়ে এসেছে ছাত্রলীগ।
দুর্যোগ, সে প্রাকৃতিক হোক আর মানবসৃষ্ট, সামাজিক হোক আর রাজনৈতিক- সর্বাবস্থায় ছাত্রলীগ আগে। ঘরপোড়া কৃষকের অশ্রু মুছেছে ছাত্রলীগ, পাকিস্তানি পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারানো তরুণের লাশ কাঁধে নিয়ে মিছিল করেছে ছাত্রলীগ, ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হারানো লাশের দাফন করেছে ছাত্রলীগ।
১৯৭০ সালের প্রলয়ঙ্কারী ঝড়ে দশ লাখ লোকের দাফন, লাশের পঁচা গন্ধ, লাখে লাখে স্বজন হারানো বুভুক্ষু বাঙালির রোনাজারিতে দেশের দক্ষিণাঞ্চল মহামারীতে ভুগছিল, পাক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান তখনও বিদেশ সফরে ব্যস্ত। সাত দিন পরে সরকারের ত্রাণের আকাড়া পৌঁছে। ইতিহাসের এই ক্রান্তিলগ্নে, গণমানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ আর ছাত্রলীগের কর্মীরা। জনগণ তার প্রতিদান দিয়েছিল নির্বাচনে।
১৯৮৮ সালের দীর্ঘস্থায়ী বন্যা চলাকালীন সময়ে দেশের শতশত স্কুল-কলেজে তিনবেলা নিজ হাতে রুটি তৈরি করে ক্ষুধার্ত বুভুক্ষের মুখে খাবার তুলে দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর এই সৈনিকেরা। ১৯৯১ ও ২০০৪ এর সাইক্লোন, ১৯৯৮, ২০০৪, ২০০৭, ২০১১ এর বন্যা থেকে শুরু করে দেশের ছোট বড় ও মাঝারি আকারের প্রতিটি দুর্যোগে জনগণের দুঃসময়ে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চন্দনাইশ উপজেলার বীর সৈনিকেরা।
+ There are no comments
Add yours