বাংলাদেশ জাতির পিতা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ২৭/০৮/২৩ রবিবার বিকেল ৪টার সময় রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদে উক্ত অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন। বাংলাদেশ জাতির পিতা পরিষদের সভাপতি ঢাকা উত্তর মহানগর বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব খান সেলিম রহমান উত্ত অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক বিচারপতি জনাব নিজামুল হক নাসিম ,চেয়ারম্যান বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এড,এস,এম, নজরুল ইসলাম ডেপুটি এটনি জেনারেল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সহ-সভাপতি বাংলাদেশ জাতির পিতা পরিষদ। বিশেষ আলোচক আলহাজ্ব আব্দুর রহিম শেখ সৈকত বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা ঢাকা উত্তর।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পস্থাপক এম এ এ সৌরভ খান প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বাংলাদেশ জাতির পিতা পরিষদ। সঞ্চালনায় ও পরিচালনায় ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ জাতির পিতা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ বি,করিম বিপিএম।বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন -বংগবীর জেনারেল ওসমানী ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের মহাসচিব আতাউল্লাহ খান আতা, বংগবীর জেনারেল ওসমানী ফাউন্ডেশনের সভাপতি জায়েদ এ রেজা, জাতীয় সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা জি কে বাবুল, রেজানুল হক ওয়াপদা এস এম আলমগীর হোসেন, নাজনীন সপ্না নাহিদা আফরোজ লিজা সার্বিক সহযোগিতায় ও ব্যবস্থাপনায় এস এম আলমগীর হোসেন সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ জাতির পিতা পরিষদ সজিব হোসেন রাজ বাংলাদেশ জাতির পিতা পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বীর মুক্তিযোদ্ধা
উদ্বোধক জনাব খান সেলিম রহমানের বক্তব্য তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপদগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ ও মেয়ে বেবি, সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে মহান আল্লাহর দরবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন বাংলাদেশ সরকারের পতি আপনারা আস্ত রাখুন এবং আগামীতে আপনারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশে উন্নতি দিন দিন বৃদ্ধি হবে হাজারো অসহায় পরিবার ভালোভাবে বাঁচতে পারবে তিনি আরো বলেন যারা জামাত ইসলাম করেন আপনারা ইসলামের অপব্যাখ্যা করিবেন না মিথ্যা বলে ইসলামকে ধ্বংস করবেন না যুদ্ধ অপরাধীদের কোন ক্ষমা নাই তারপরও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন নেতাকর্মী দেলোয়ার সাঈদীর মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানের সভাপতি বক্তব্য তিনি বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবস যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে দেশবাসীকে সাথে নিয়ে পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ দলের সকল স্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থকদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।
+ There are no comments
Add yours