যানজট নিরসনে ঢাকা সিটির উপর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’। প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ না হলেও সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৬৫ শতাংশ। মাত্র একদিন পর প্রকল্পের প্রথম ফেইজ উদ্বোধন করতে যাচ্ছে সেতু বিভাগ।
উদ্বোধন হওয়ার পর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ৮০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চলার কথা থাকলেও প্রকল্প উদ্বোধনের আগে শেষ সময়ে এসে তা নির্ধারণ করা হয়েছে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার।
আগামী ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রান্ত থেকে ফার্মগেট প্রান্ত পর্যন্ত উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটির উদ্বোধন করবেন।
এই এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন হলে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত আসতে প্রতিটি গাড়িকে সময় ব্যয় করতে হবে মাত্র ১০-১২ মিনিট। এক্সপ্রেসওয়েটি ব্যবহার করলে বনানী, মহাখালি, জাহাঙ্গীর গেট, বিজয় স্মরণীর ভয়াবহ যানজট থেকে মুক্তি মিলবে ওই পথের যাত্রীদের।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কাওলা) থেকে শুরু করে মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার হয়ে কুতুবখালী গিয়ে শেষ হবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে এই প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ হওয়ার কথা আছে। বর্তমানে পুরো প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৫ শতাংশ।
বর্তমানে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ফেইজ হিসেবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সামনে থেকে ফার্মগেট প্রান্ত অংশ পর্যন্ত যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এই পথের দূরত্ব দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার। র্যাম্পসহ এই পথের মোট দৈর্ঘ্য ২২.৫ কিলোমিটার।
১১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে র্যাম্প রয়েছে ১৫টি র্যাম্প। র্যাম্পগুলো হচ্ছে— বিমানবন্দরে ২টি, কুড়িলে ৩টি, বনানীতে ৪টি, মহাখালীতে ৩টি, বিজয় সরণিতে ২টি এবং ফার্মগেটে ১টি। ১৫টির মধ্যে ১৩টি র্যাম্প প্রাথমিকভাবে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাতে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার জানিয়েছেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ফেইজ আগামী ২ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করা হবে। বর্তমানে প্রথম ফেইজের শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। পুরো প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৬৫ শতাংশ।
+ There are no comments
Add yours