রাজবাড়ীতে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে উন্নত জাতের গাড়ল পালন। জেলার চাহিদা মিটিয়ে আশেপাশের জেলাতেও বিক্রি হচ্ছে এ জেলার গাড়ল।
মাংসের ভালো চাহিদা ও বাজারে ভালো দাম পেয়ে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা। গাড়ল দেখতে হুবহু ভেড়ার মতই। তবে ভেড়ার চেয়ে আকারে বেশ বড় ও মাংসের পরিমাণও কয়েকগুণ বেশি গাড়লের। ফলে জেলায় দিন দিন বাড়ছে গাড়লের খামার। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় গাড়ল পালনে আগ্রহী হচ্ছেন খামারিরা।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৫০টি গাড়লের খামার রয়েছে। এসব খামার থেকে বছরে প্রায় ১ হাজার গাড়লের বাচ্চা উৎপাদন হয়।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. খায়ের উদ্দীন আহমেদ বলেন, গাড়ল সব পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারে। এদের রোগব্যাধি অনেক কম। এ জন্য গাড়ল পালন সহজ। প্রতি ৭ মাস পর পর গাড়ল বাচ্চা দেয়। প্রসবকালে ২টি পর্যন্ত বাচ্চা হয়। ৪ থেকে ৫ মাসের একটি গাড়লের বাচ্চার দাম ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা। মাদি গাড়ল বিক্রি হয় প্রতিটি ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকায়।
গর্ভবতী গাড়ল বিক্রি হয় ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকায়। পাঠা গাড়ল বিক্রি হয় প্রতিটি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায়। গাড়ল খামার করেই স্বাবলম্বী হতে পারেন উদ্যোক্তারা। লাভজনক হওয়ায় দিন দিন গাড়ল পালন বাড়ছে। আমাদের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে খামারিদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
+ There are no comments
Add yours