মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছেন চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি উপজেলার ৬০০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন ‘ক’ শ্রেণির পরিবার।
কামাল পারভেজ অভি,স্টাফ রিপোর্টারঃ
‘আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছেন চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি উপজেলার ৬০০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন ‘ক’ শ্রেণির পরিবার। পুরো চট্টগ্রামে অন্যান্য উপজেলার চেয়ে ফটিকছড়িতেই সর্বোচ্চ ঘর দিচ্ছেন সরকার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তৈরি হচ্ছে এসব গৃহহীনদের স্বপ্নের বাড়ি। চারদিকে ইটের দেয়াল এবং মাথার ওপরে দেওয়া হচ্ছে সবুজ টিনের ছাউনি।
ফটিকছড়ি উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ফটিকছড়ি পৌরসভায় আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় ৬০০টি পাকা ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৭০টি ঘর পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েছে। প্রতিটি ঘরের খরচ ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। ঘরগুলো নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ কোটি ৬০ হাজার টাকা।
বিভিন্ন জনের দখলে থাকা সরকারি খাস জমি উদ্ধার করে সেখানে ভূমিহীন পরিবারগুলোর জন্যে তৈরি করা হচ্ছে পাকা ঘর। মুজিববর্ষ উপলক্ষে তাদের কাছে তুলে দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ উপহার। সরকারের দেওয়া পাকা ঘরে বসবাস করতে পারবেন ভেবে ভীষণ আনন্দিত ঘর উপহার পাওয়া মানুষগুলো। দিনের পর দিন উন্মুখ হয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছে এ পরিবারগুলো।
সরেজমিন আশ্রয়ন প্রকল্পে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়িগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে সবুজ রংঙের টিন। প্রতিটি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য থাকছে আধুনিক সুযােগ-সুবিধা সংবলিত দুই কক্ষবিশিষ্ট ঘর। টয়লেট, কিচেন ও স্টোর রুম। পানির জন্য ডিপ টিউবওয়েল বসানো হচ্ছে প্রত্যেক প্রকল্প স্থলে। বড় আশ্রয়ণে মসজিদ, স্কুল, কবরস্থানের জন্য জায়গা রাখা হচ্ছে।
৭০টি বাড়ির নির্মাণকাজ শেষ। বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে আশ্রায়ন প্রকল্প। আগামি মার্চ মাসের মধ্যে শেষ হবে ৬০০টি ঘরের পুরো প্রকল্পের কাজ। আগামী ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারা দেশের ন্যায় ফটিকছড়ির এই আশ্রায়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর এই কার্যক্রমকে সফল করতে স্থানীয় প্রশাসন দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
ফটিকছড়ি সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিসান বিন মাজেদ বলেন, মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে সরকারি খাস জমির ওপর গৃহনির্মাণ করে জমি সংশ্লিষ্ট কবুলিয়ত, রেজিস্ট্রি দলিল, ডিসিয়ারের কপি, খতিয়ান, গৃহ প্রাপ্তির সনদ একসাথে একটি ফোল্ডারে
৬০০ উপকারভোগীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। ইতিমধ্যে ৭০টি ঘরের কাজ শেষ হয়েছে। কাজের যেন কোনো অনিয়ম না হয় সেই দিকে সব সময় নজর রাখছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। তিনি নিজেই উপস্থিত থেকে কাজের দেখভাল করছেন।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মোহাম্মদ সায়েদুল আরেফিন বলেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারা দেশের ন্যায় ফটিকছড়ি উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য পাকা বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের মধ্যে ফটিকছড়ি উপজেলায় সর্বোচ্চ ৬০০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছেন ওই ঘর। খুব দ্রুতই বাকি নির্মাণ কাজ শেষ করে ঘর গুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এই সব ঘর নির্মাণে কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি প্রমাণ বা ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান ও জানান তিনি।
+ There are no comments
Add yours