সবমিলিয়ে ৬ মাসেরও বেশি সময় পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষের সিরিজে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নামলেন। জাতীয় দলে রিয়াদকে দেখতে রীতিমত আন্দোলনে নেমেছিলেন ভক্তদের একটা অংশ।
তাদের আক্ষেপ ঘুচে রিয়াদ খেলতে নামলেন ঠিকই, তবে বৃষ্টির বাধায় আর ব্যাট করা হয়নি। আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে নেমেই বড় মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের সব ফরম্যাট মিলিয়ে ১০ হাজারি রানের ক্লাবেও প্রবেশ করেছেন মাহমুদউল্লাহ।
আগে থেকেই তার জন্য এই মাইলফলকের মঞ্চ প্রস্তুত ছিল। এজন্য তার প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৪ রান। এই ওয়ানডেতে নামার আগে রিয়াদের রান ছিল ৪ হাজার ৯৫০।
কিউইদের বিপক্ষে ব্যক্তিগত অর্ধশতকের দেখা পেলেই পাঁচ হাজারের কোটা পূর্ণ করতেন তিনি। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে পার্ট টাইমার কোল ম্যাকনকির বলে মাহমুদউল্লাহ মারলেন সরাসরি ফাইন লেগে। সেখানে থাকা ফিল্ডারের হাতেই শেষ তার ৭৬ বলে ৪৯ রানের ইনিংসটি।
ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত ২২০ ম্যাচ খেলেছেন টাইগার এই অলরাউন্ডার। যেখানে এখন পর্যন্ত ৩টি সেঞ্চুরি ও ২৮ হাফসেঞ্চুরিতে তিনি ৪ হাজার ৯৫৯ রান করেছেন। এছাড়া ৫০ টেস্টে ২৯১৪ রান এবং ১২১ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রিয়াদের সংগ্রহ ২১২১ রান।
এর আগে ওয়ানডের পাঁচ হাজারি ক্লাবে বাংলাদেশের হয়ে নাম লিখিয়েছেন তামিম ইকবাল (৮ হাজার ৩১৩ রান), মুশফিকুর রহিম (৭ হাজার ৩৮৮ রান) এবং সাকিব আল হাসানের (৭ হাজার ৩৮৪ রান)। মাহমুদউল্লাহ হতে পারতেন সেই তালিকায় বাংলাদেশের চতুর্থ কোনো ক্রিকেটার।
তামিম ইকবাল খান। অবসর ভেঙে মাঠে ফেরার ঘোষণা দিয়েছিলেন আগেই। মাঝে চোটের কারণে খেলা হয়নি এশিয়া কাপ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজ দিয়ে প্রায় ৮০ দিন পর মাঠে ফিরেছেন সাবেক এই অধিনায়ক।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে বৃষ্টির কারণে ব্যাটিং করতে না পারলেও, আজ দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে চিরচেনা সেই তামিমেরই দেখা মিলেছে। ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে গিয়ে ইশ সোধির বলে ধরা পড়েছেন। সাজঘরে ফেরার আগে করেছেন ৫৭ বলে ৪৪ রান।
ব্যাটিংয়ে নেমে এদিন একটি মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন তামিম। প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ঘরের মাঠে চার হাজার ওয়ানডে রান স্পর্শ করেছেন।
আজ ইনিংস শুরুর আগে ওডিআইতে ঘরের মাঠে তামিমের সংগ্রহ ছিল ৩৯৯০ রান। কিউইদের বিপক্ষে এদিন খেলতে নেমে চার হাজার রানের কোটা পূর্ণ করেছেন।
বোলিংয়ে দারুণ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে মাঝের ওভারে সেই ধারবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি। তাতে লড়াই করার পুঁজি পেয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের বোলিং ইনিংসের কার্বন কপি বলা যায় ব্যাটিং ইনিংসকে। লিটন দ্রুত ফিরলেও তানজিদ তামিম-তামিম ইকবাল জুটিতে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এরপর আর বড় কোনো জুটি গড়তে পারেনি।
+ There are no comments
Add yours