শরীয়তপুরের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই চলছে মা ইলিশ নিধন

Estimated read time 1 min read
Ad1

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার পদ্মা-মেঘনা নদীতে চলছে অবাধে মা ইলিশ নিধন। ভেদরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অস্থায়ী ৫০টি ভাসমান আড়ত বসিয়ে চলছে মা ইলিশ কেনা-বেচা।

গতকাল (২৪ অক্টোবর) ট্রলারযোগে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাঁচিকাটা, দুলারচর, এলাকায় পৌঁছতেই দেখা যায় অসংখ্য নৌকা বহর। সবাই মাঝ মেঘনা নদীর পথে।

স্থানীয় কিছু অসাধু জনপ্রতিনিধি ওই সব জেলেকে (দাদন দিয়ে) টাকার বিনিময়ে মাছ শিকারে বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় পাড়া-মহল্লায় এসব ইলিশ অবাধে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিটি ছোট আকারের ইলিশ ২০০ থেকে ৩০০ আর বড় সাইজের মা ইলিশ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও প্রশাসনের তৎপরতা নিয়ে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মা ইলিশ কেনা-বেচার অসাধু কিছু কর্মকর্তা জড়িত বলেও অভিযোগ রয়েছে।

জেলেরা জানায়, পেটের তাগিদে প্রশাসনের জেলা ও অর্থ জরিমানা উপেক্ষা করে মাছ ধরতে আসেন তারা। এদিকে সন্ধ্যায় মেঘনা নদীর দেওয়ান বাজার এলাকা ইলিশ ধরার ছোট ছোট নৌকা দেখা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দোলারচর ভাংগা স্কুল মানিক দেওয়ান, শফি দেওয়ান, সিরাজ মন্দি, হাবিব হাওলাদারের নেতৃত্বে ১০টি আড়ত, উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের মোল্লা বাজার এলাকায় ইউপি সদস্য সুমন ও মকবুল মেম্বারের নেতৃত্বে ১৫টি আড়ত, উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের বেপারি বাজার এলাকায় মোশাররফ সরদার, লালমিয়া বেপারি, হাসান হাওলাদারের নেতৃত্বে ৫টি আড়ত, দেওয়ান বাজার এলাকায় মানিক দেওয়ান, আক্তার হোসেন, লাল মিয়া বেপারি, হাসান হাওলাদার, মোশাররফ সরকার নেতৃত্বে ৬টি আড়ত, মনাই হাওলাদার বাজার এলাকায় চারভাগা ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হাবিব হাওলাদারের নেতৃত্বে ১০টি আড়ত, গৌরাঙ্গ বাজার এলাকায় ফরিদ ও উজ্জ্বল বকাউলের নেতৃত্বে ৩টি আড়ত, কুবুদ্ধির ঘাট এলাকায় ইউপি সদস্য বাবুল এর নেতৃত্বে ৫টি আড়ত, বুন্দুকছি বাজার এলাকায় বাচ্চু মাঝির নেতৃত্বে ৪টি আড়ত, দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের বাসগাড়ি বাজার এলাকায় কাশেমের নেতৃত্বে ৫টি আড়ত, নূরউদ্দিন বাজার এলাকায় কবির ঢালী, ইকবাল পাটোয়ারীর নেতৃত্বে ৫ আড়ত, সিডুর টেক এলাকায় ইকবাল খানের নেতৃত্বে ১০ আড়তসহ উপজেলা বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে ভাসমান আড়ত তৈরি করে মা ইলিশ কেনা-বেচা করা হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার পর থেকে নদীতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করি। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours