দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্য থেকে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।
যেখানে ময়মনসিংহ জেলায় ১১টি সংসদীয় আসনে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীসহ দুই এমপি মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। এছাড়া তিনটি আসনে রয়েছে নতুন মুখ।
ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জুয়েল আরেং, ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) শরীফ আহমেদ, ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নিলুফার আনজুম পপি, ময়মনসিংহ-৪ (সদর) মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত, ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল হাই আকন্দ, ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন, ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) রুহুল আমিন মাদানী, ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আবদুছ ছাত্তার, ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) মেজর জেনারেল আবদুস সালাম (অব.), ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) কাজিম উদ্দিন ধনু দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। এদিকে মনোনয়নবঞ্চিত হওয়া তিন সংসদ সদস্য হলেন- ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ, ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে কে এম খালিদ ও ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনে আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিন।
মুক্তাগাছায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই আকন্দের বিরোধ দীর্ঘদিনের। সাম্প্রতিক সময়ে একটি খুনের ঘটনায় সেই বিরোধ আরও তুঙ্গে ওঠে। প্রতিমন্ত্রীর অনুসারীদের নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সমাবেশ করে প্রতিহতের ঘোষণা দেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ আবদুল হাই। কে এম খালিদের অন্যায় শাসনের বিরুদ্ধে নিজে স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেও পরে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেন তিনি। তার কাছেই মনোনয়ন হারালেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী।
সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে নয়ছয়সহ বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ ছিল আরেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিনের। নান্দাইল আসনে তুহিনের পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক এমপি মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম। তিনি ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ থেকে এমপি হয়েছিলেন। পরে ২০১৪ সালে ফের দলীয় মনোনয়ন পেলেও ঋণখেলাপির কারণে ছিটকে পড়ায় ওইসময় মনোনয়ন বাগিয়ে নিয়ে এমপি হয়েছিলেন তুহিন।
ময়মনসিংহ সদর আসনে নতুন মুখ মোহিত উর রহমান শান্ত। তিনি সাবেক ধর্মমন্ত্রী প্রয়াত অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের ছেলে। ২০১৪ অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এ আসনে নৌকার প্রার্থী থাকলেও পরবর্তীতে দলীয় সিদ্ধান্তে জাপার রওশন এরশাদকে আসনটি ছেড়ে দেন তিনি। ২০১৮ সালেও রওশনকে আসনটি দিতে কোনো প্রার্থীই দেয়নি আওয়ামী লীগ। তবে দীর্ঘদিন ধরে এ আসনে নৌকার প্রার্থী দেওয়ার দাবি করে আসছিলেন নেতাকর্মীরা। এবার প্রয়াত বাবার নৌকা ফিরে পেলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত।
জোটের কারণে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ আসনটিও জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের কাছে ছেড়ে দিয়েছিল ক্ষমতাসীন দল। এবার এ আসনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে এমপি হওয়া আবদুছ ছাত্তারকে ফের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পরপরই সংসদীয় আসনগুলোতে আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা গেছে নৌকার সমর্থক ও প্রার্থীর অনুসারীদের।
+ There are no comments
Add yours