কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুরে দীর্ঘদিন ধরে সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে জমি রেজিস্ট্রি কার্যক্রম। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে উপজেলার কয়েক লক্ষাধিক মানুষ। সেই সাথে মোটা অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
দীর্ঘদিন ধরে চর রাজিবপুর উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় পাশের উপজেলা রৌমারীর সাব-রেজিস্ট্রার শাহীন আলমকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। শুরুতে সপ্তাহের প্রতি সোমবার জমি রেজিস্ট্রি হলেও এখন প্রতি মাসে হচ্ছে মাত্র দুবার অথচ রৌমারীতে প্রতি সপ্তাহেই হচ্ছে জমি রেজিস্ট্রি।
সরেজমিনে চর রাজিবপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দেখা যায়, ১৫ দিন পরপর জমি রেজিস্ট্রি হওয়ায় অলস সময় কাটাচ্ছেন দলিল লেখকসহ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মচারীরা।
দলিল লেখকরা জানিয়েছেন, মাসে দুদিন রেজিস্ট্রি করতে আসা লোকদের নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। ব্যাংক ড্রাফট, জমির নানা কাগজপত্র ও প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করতেই বেলা শেষ হয়ে যায়। ওই দিন কোনো কারণে জমি রেজিস্ট্রি করতে না পারলে পনেরো দিন অপেক্ষা করতে হয়। এসব জটিলতার কারণে জমির মালিক জমি বিক্রিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। ফলে সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে দলিল লেখকরাও বেকার হয়ে পড়ছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সাব রেজিস্ট্রার শাহীন আলমকে বারবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে জেলা রেজিস্ট্রার মোস্তাফিজ আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই তবে আমি এখনই খোঁজ নিচ্ছি।
+ There are no comments
Add yours