মোহাম্মদ আনোয়ার আজম, চট্টগ্রাম : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা গত ৩০শে নভেম্বর সারাদেশে প্রার্থীতা ফরম জমা দানের মাধ্যমে শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন নিবন্ধনকৃত ২৯ টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছেন।
নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বিভিন্ন দলের অনেক হেভিওয়েট ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর ফরম নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা মোতাবেক না হওয়ায় বাতিল ঘোষণা করেন তবে আইনগত ভাবে তারা আপিল করার সুযোগ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে কোন ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হতে দেবে না বলে তাহার মনোভাব বিভিন্ন মিডিয়ায় বলেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা তার দলের নমিনেশন প্রত্যাশীদের নিয়ে গণভবনে অনুষ্ঠিত সভায় বলেছেন,সাংবিধানিক নিয়ম রীতিতে ৩০০ জন প্রার্থীকে দল হতে নমিনেশন দিতে পারব।
কিন্তু আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরানো দল। তাই এই দলে দুই হাজার সাতশো মত নমিনেশন প্রত্যাশী। ৩০০ জনের প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ার পর কেউ যদি নিজেকে এলাকায় জনপ্রিয় মনে করেন তাহলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করতে চান করতে পারেন নির্বাচিত হয়ে আসলে স্বাগতম জানাব।
এরপর দলীয় সেক্রেটারী ওবায়দুল কাদের বলেন দল হতে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করলে বহিষ্কার করা হবে না। দলীয় হাইকমান্ডের এই নির্দেশনা পাওয়ার পর সারাদেশে ভোটের উৎসব শুরু হয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ সবার জন্য উম্মুক্ত পরিবেশে। নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী আগামী নির্বাচন সম্পন্ন করবেন সরকার কোন রকম হস্তক্ষেপ করবে না।
নির্বাচন কালীল সরকার সংবিধান মতে রুটিন ওয়ার্ক করবে। দেশের প্রশাসন নির্বাচন কে সুষ্ঠু ভাবে করার জন্য তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে প্রস্তুত। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩০০ আসনে কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয় নাই হওয়ায় পরিবেশ ও তেমন নেই।
যেহেতু দলীয় সভাপতি সকল প্রার্থী কে সতর্ক করেছেন কেউ যেন প্রতিপক্ষকে হুমকি-ধমকি দিয়ে বিনা ভোটে নির্বাচিত না হয়।যদি এমন অভিযোগ আসে তদন্তের মাধ্যমে সত্যাতা পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রীর এমন কঠোরতার মনোভাব হতে প্রতিয়মান হয় যে, সারাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন মহাউৎসবে পরিনিত হবে।ভোট কেন্দ্রে বিপুলসংখ্যক ভোটার উপস্থিত হয়ে নিরবিছিন্ন নিরাপত্তার মধ্যে নিজ ভোট প্রদান করে এলাকার সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য ব্যাক্তি কে সাংসদ নির্বাচিত করবেন।বিশ্ব দেখবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে।
+ There are no comments
Add yours