খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন (ক্রিসমাস) আজ। খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট এই দিনে বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন।
সারা বিশ্বের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের মতো বাংলাদেশের খ্রিষ্টধর্মের অনুসারীরাও ধর্মীয় আচার, প্রার্থনা ও আনন্দ-উৎসবের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করবেন।
বড়দিন উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব চার্চ ও তারকা হোটেলগুলো ক্রিসমাস ট্রি, রঙিন বাতি, বেলুন আর ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। পাশাপাশি কেক, পিঠা ও বিশেষ খাবারের আয়োজন থাকবে উৎসব ঘিরে।
এদিকে, বড়দিনের উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। প্রতিটি গির্জায় পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি টহল বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন ও গোয়েন্দা কার্যক্রম বাড়িয়েছে পুলিশ।
ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ) মো. ফারুক হোসেন বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও বড়দিন উৎসবমুখর ও নিরাপদ করতে পুলিশের পক্ষ থেকে সুসংহত নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
বড়দিনে নিরাপত্তার জন্য ১৩টি নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি। এর মধ্যে রয়েছে-রাতে ভিডিও ধারণ করা যায় প্রতিটি গির্জায় এমন সিসি ক্যামেরা স্থাপন, ফুটেজ সংরক্ষণ, গির্জার জন্য নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, স্বেচ্ছাসেবকদের আলাদা পোশাক, দৃশ্যমান পরিচয়পত্র ও আর্মব্যান্ড নির্ধারণ। স্বেচ্ছাসেবকদের নামের তালিকা স্থানীয় থানায় পাঠানো এবং থানার কর্মকর্তার উপস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবকদের ব্রিফিংয়ের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
+ There are no comments
Add yours