রাজধানী ঢাকায় আজ ইংরেজি নতুন নববর্ষের উদযাপন উপলক্ষ্যে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা হবে।
থার্টি ফার্স্ট নাইটে যেন ফানুস ওড়ানো না হয় এবং আতশবাজি ফোটানো না হয় এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে ঢাকার ৫০ থানার ওসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া থার্টি ফার্স্ট নাইটে কেন্দ্র করে রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে জানা যায়, থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষ্যে রাজধানীর যেসব এলাকায় ফানুস ও আতশবাজি বিক্রি হয় সেসব জায়গায় গত কয়েক দিন ধরে অভিযান পরিচালনা করেছে ডিএমপির বিভিন্ন থানা পুলিশ। স্থানীয় ফানুস বিক্রেতাদের ফানুস বিক্রি না করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এছাড়া ডিএমপির প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট থানাধীন এলাকায় যেন কোনোভাবে থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষ্যে ফানুস বিক্রি ও উড়ানো না হয়। তারপরেও যদি কেউ ফানুস ওড়ায় তাহলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ।
থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে আরও কিছু নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি। সেগুলো হলো,
১। ঢাকা মহানগরের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায় এবং প্রকাশ্যে স্থানে কোন ধরনের সভা-জমায়েত বা উৎসব করা যাবে না।
২। উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে কোন ধরনের অনুষ্ঠান, সমাবেশ, নাচ, গান ও কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।
৩। কোথাও কোন ধরনের আতশবাজি, পট্কা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো বা ক্রয় বিক্রয় করা যাবে না।
৪। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পরে বহিরাগত কোন ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত যানবাহন পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবে।
৫। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে স্ব-স্ব এলাকায় প্রত্যাবর্তন করবেন এবং রাত টার পরে প্রবেশের ক্ষেত্রে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যবৃন্দকে পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে।
৬। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় রাত ৮টার পর বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবে না। তবে উক্ত এলাকায় বসবাসরত সম্মানিত নাগরিকবৃন্দ নির্ধারিত সময়ের পর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং দিয়ে পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবে।
৭। একইভাবে উপর্যুক্ত সময়ে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় যে সকল নাগরিক বসবাস করেন না তাদেরকে বর্ণিত এলাকায় গমনের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হলো।
৮। হাতিরঝিল এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে কোন সমাবেশ বা অনুষ্ঠান করা যাবে না এবং কোন যানবাহন থামিয়ে অথবা পার্কিং করে কেউ অবস্থান করতে পারবে না।
৯। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসরত সম্মানিত নাগরিকবৃন্দকে ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮ টার মধ্যে স্ব-স্ব এলাকায় প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুরোধ করা হলো।
১০। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টার পর ঢাকা মহানগরীর কোন বার খোলা রাখা যাবে না।
১১। আবাসিক হোটেলগুলো সীমিত আকারে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করতে পারবে।
১২। ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টা হতে ১ জানুয়ারি ভোর ৫টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সকল প্রকার লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না।
এছাড়াও সম্মানিত নগরবাসীকে নিম্নোক্ত ট্রাফিক নির্দেশনা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হলো:
১। ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮ টা থেকে পরদিন ১ জানুয়ারি ভোর ৫ টা পর্যন্ত গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় যানবাহনযোগে প্রবেশের জন্য কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে।
২। রাত ৮ টা থেকে গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে মহাখালী এলাকা-ফিনিক্স রোড ক্রসিং, বনানী ১১ নং রোড ক্রসিং, চেয়ারম্যান বাড়ি ক্রসিং, ঢাকা গেট, শুটিং ক্লাব, বাড্ডা লিংক রোড, ডিওএইচএস বারিধারা-ইউনাইটেড হাসপাতাল ক্রসিং ও নতুন বাজার ক্রসিং এলাকাসমূহে প্রবেশের জন্য ব্যবহার করা যাবে না, তবে উক্ত এলাকা থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে এসব ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে।
৩। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা হতে পরদিন ১ জানুয়ারি ভোর ৫টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী ব্যতিত অন্য যেকোন ব্যক্তি বা যানবাহন কেবলমাত্র পুরনো হাইকোর্ট- দোয়েল চত্বর-শহীদ মিনার-জগন্নাথ হলের দক্ষিণ গেট-পলাশী মোড় দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। উক্ত এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে অন্যান্য সকল ক্রসিং বন্ধ থাকবে।
৪। ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টা থেকে শাহবাগ, নীলক্ষেত ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, বক্শী বাজার ক্রসিং, পলাশী ক্রসিং এবং চাঁনখারপুল/শহিদুল্লাহ হল ক্রসিং দিয়ে কোন প্রকার যানবাহন প্রবেশ করবে না।
+ There are no comments
Add yours