বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারগ্রাজুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় ‘ট্রান্সজেন্ডার’’ শব্দ প্রত্যাহার ও নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ (৩ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া আরবি বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী মুনতাসীর আহমেদ মুয়াদ বলেন, ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দটি আমাদের দেশীয় শব্দ নয়। এমনকি বাংলা একাডেমির কোনো অভিধানে কোথাও ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দটির উল্লেখ নেই।
তবে হিজড়া শব্দের প্রতিশব্দ হিসেবে hermaphrodite ও eunuch এর উল্লেখ থাকলেও এগুলো ব্যতীত অন্যকোনো শব্দের উল্লেখ নেই। এ অবস্থায় একটি বিতর্কিত শব্দকে কেন ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে যুক্ত করা হলো তা- আমাদের বোধগম্য নয়।
আমরা মনে করি ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে এই শব্দ সংযুক্তির মাধ্যমে দেশীয় কৃষ্টি ও সংস্কৃতির উপর আঘাত করা হয়েছে। আমাদের দেশজ সংস্কৃতি রক্ষায় এই শব্দটি প্রত্যাহার করা অত্যন্ত জরুরি।
বাংলা বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক আলী ইবনে মুহাম্মদ বলেন, হিজড়াদের কোটা থাকা যুক্তিযুক্ত কিন্তু ট্রান্সদের কোটা দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই৷ নিজেদের বিকৃত করে কোটার দাবিদার হওয়া যায় না।
উপাচার্য বলেছেন, ট্রান্সজেন্ডার শব্দ দ্বারা হিজড়াকে বুঝানো হয়েছে তাহলে কেন অন্য আরও সমার্থক শব্দ থাকলেও হিজড়া শব্দের পাশে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দ উল্লেখ করতে হবে? এর মাধ্যমে সমকামিতার বীজ আমাদের মাঝে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ট্রান্সজেন্ডার একটি মহামারির মতো। মার্কিন একটি জরিপে দেখা যায়, গত ১০ বছরে সেখানে ট্রান্সজেন্ডার হওয়া ৫ হাজার শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে এইচআইভিসহ অন্যান্য রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদের শতাধিক ট্রান্সজেন্ডার এখন এইচআইভিতে আক্রান্ত রয়েছে। সুতরাং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যদি এই শব্দকে প্রমোট করা হয় তাহলে অনেকেই এই পথে হাঁটা শুরু করবে। যা দেশে মহামারির আকার ধারণ করবে।
+ There are no comments
Add yours