ভোটের নিম্ন হারেই সাফল্য দেখছে বিএনপি

Estimated read time 1 min read
Ad1

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়াকে আন্দোলনের সাফল্য মনে করছে বিএনপি। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই নির্বাচন বর্জন ও প্রত্যাখ্যান করেছে বলে দলটির মূল্যায়ন। বিএনপির মতো একই মন্তব্য করেছে নির্বাচনে অংশ না নেওয়া অন্য দলগুলোও।

নানা জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত হলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তবে নির্বাচন বর্জন করে এদিন হরতাল পালন করে বিএনপি ও তাদের মিত্র দলগুলো।

সাধারণ মানুষকে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল এসব দল। বিএনপি ও তাদের মিত্র দলগুলোর শীর্ষ নেতারা বলছেন, এ নির্বাচন জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রত্যাখ্যান ও বর্জন করেছে। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাননি—এটাই তাদের বড় অর্জন।

এই নির্বাচন দেশের ৬২টি রাজনৈতিক দল প্রত্যাখ্যান করেছে। ‘একতরফা’ ও ‘ডামি’ আখ্যা দিয়ে তারা বলেন, যারা স্বতন্ত্র ও ভিন্ন দলের প্রার্থী, তারাও ঘুরেফিরে নৌকারই লোক। একতরফা নির্বাচনেও যেখানে ৫ শতাংশ ভোট পড়েনি, সেখানে নির্বাচন কমিশন জোর করে সেটাকে ৪০ শতাংশ দেখিয়েছে। জনগণ ও বিশ্ববাসী বুঝে গেছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনটি পাতানো ও প্রহসনমূলক।

ভোটের পরিস্থিতি সম্পর্কে গতকাল রোববার দুপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘একতরফা’ ভোট বর্জনের ডাক সফল হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও সবাই ভোটকেন্দ্রে যাননি।’

এজন্য ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশ-বিদেশের মানুষ দেখছে, এই নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষ বর্জন করেছে। শুধু বিএনপির পক্ষে নয়, নির্বাচন বর্জনকারী ৬২টি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের মানুষকে স্যালুট জানাই যে, তারা গণতন্ত্রের প্রশ্নে কোনো দিন আপস করেনি, এবারও করবে না।’

ড. মঈন খান আরও বলেন, ‘হরতাল না হলেও তো ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি এমন হতো না। কোন কেন্দ্রে কত ভোট পড়ল, সেটা কনসার্ন না। কেননা ২০১৪ সালের নির্বাচনের মতো একটি কেন্দ্রে ১০৫ শতাংশও বলতে পারে। কী ভোট হচ্ছে, সেটা সারা বিশ্ব ও বাংলাদেশের মানুষ দেখছে।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতেই সাজানো নির্বাচন করেছে। সিইসি নিজেই বলেছেন, নৌকার এজেন্ট ছাড়া আর কোনো প্রার্থীর এজেন্ট দেখতে পাননি।’

বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, সরকারের পতন এবং দেশে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন অব্যাহত রাখতে চান। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যরা একমত হয়েছেন যে, আন্দোলন-কর্মসূচিতে বিরতি দেওয়া যাবে না। তবে ভোটের পর নতুন প্রেক্ষাপটে কী ধরনের কর্মসূচি দেওয়া হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি।

গত রাতেও দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভা হয়েছে। সেখানে ভোটের সার্বিক বিষয় ও পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে সরকারবিরোধী দীর্ঘমেয়াদি আন্দোলনসহ বিভিন্ন প্রস্তাব এসেছে। এখন যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ও জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী আন্দোলনের ধরন চূড়ান্ত করা হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours