ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে এবছর প্রথম ফার্মগেট থেকে বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর ফলে মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধা নিয়ে মতিঝিল ও উত্তরার দর্শনার্থীরা সহজেই মেলা প্রাঙ্গণে যেতে পারবেন।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ- চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ‘২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-২০২৪’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম৷
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান।
আহসানুল ইসলাম বলেন, এবার মেলায় যাতায়াতের সুবিধার জন্য মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করতে ফার্মগেট থেকে বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে উত্তরা, মতিঝিল রুট থেকে যারা মেলায় আসবেন তারা মেট্রোরেলে এসে ফার্মগেট থেকে বাসে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে সোজা মেলায় চলে আসতে পারেন সেই সুবিধা রাখা হয়েছে। গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যত বেশি দর্শনার্থী আসবে ততো বেশি লোকাল শিল্প উৎসাহিত হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীতে মেলায় কোনো ম্যানুফেকচারার বঞ্চিত হবে না। তাদের দেওয়ার পরও আমরা কমার্শিয়াল স্টল বরাদ্দ দেব৷ মেলা আয়োজন করতে হলে সকল কিছুর একটা সমন্বয়ের প্রয়োজন হয়।
জানা গেছে, সাধারণ দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে কুড়িল বিশ্বরোড হতে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসি ও কয়েকটি যাত্রীবাহী বাসের ডেডিকেটেড সার্ভিসের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মেলা চলাকালীন এ বাস সার্ভিস চালু থাকবে। শুক্র ও শনিবার চাহিদা মতো গাড়ির ব্যবস্থা করা হবে৷ এছাড়া এবছরই প্রথম মেলার জন্য ফার্মগেট থেকে বাস ছাড়া হবে।
মেলায় প্রবেশ টিকিটের মূল্য
মেলার প্রবেশ টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা (প্রাপ্ত বয়স্ক) এবং শিশুদের (১২ বছরের নিচে) ক্ষেত্রে ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধীরা তাদের কার্ড প্রদর্শন করে বিনামূল্যে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। মেলার টিকেট অনলাইনেও পাওয়া যাবে। এছাড়াও বিকাশের মাধ্যমে ডিসকাউন্টে টিকিট বিক্রয় করা হবে।
পার্কিং সুবিধা
এদিকে মেলার রয়েছে পর্যাপ্ত কার পার্কিংয়ের সুবিধা। ভিআইপি পার্কিংয়ের জন্য রয়েছে বিল্টইন দ্বিতল কার পার্কিং বিল্ডিং যেখানে পাঁচ শতাধিক গাড়ির পার্কিং সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও, এক্সিবিশন হলের বাইরে ৬ একর জমিতে বিস্তর পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্টল সংখ্যা
এবারের বাণিজ্য মেলার লে-আউট প্ল্যান (সংশোধিত) অনুযায়ী, বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের মোট সংখ্যা ৩৫১টি এবং দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইতোমধ্যে প্রায় সবগুলো প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টল বরাদ্দ পেয়েছে। অত্যাধুনিক সুযোগ- সুবিধা সংবলিত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এক্সিবিশন সেন্টারের ১ লাখ ৬৬ হাজার ৩০০ বর্গফুট আয়তনের দুটি হলে (এ ও বি) ১৭৪টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মিলবে সেসব পণ্য
এবারের বাণিজ্য মেলায় দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইরান, হংকং ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশ অংশ নেবে। মেলায় এসব দেশের বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিক্স অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহসামগ্রী, চামড়া/আর্টিফিসিয়াল চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি পণ্য মেলায় প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে। পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশীয় পণ্য রপ্তানির বড় বাজার খোঁজার লক্ষ্য রয়েছে।
+ There are no comments
Add yours