গত দুই মাসের অধিক সময় ধরে স্মার্ট লাইসেন্স কার্ড পাচ্ছেন না আবেদনকারীরা। ফলে পেশাদার কিংবা ব্যক্তিগত বাহনের চালকেরা বিপাকে পড়েছেন।
এমনকি সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে চালক পদে আবেদনকারীও নির্ধারিত সময়ে লাইসেন্স না পাওয়ার অভিযোগ নিয়ে প্রতিদিন বিআরটিএ’র কার্যালয়ে ভিড় করলেও সমাধান পাচ্ছেন না। বিআরটিএ কর্মকর্তারাও তাকে কার্ড পাওয়ার সর্বশেষ অবস্থা জানাতে পারেননি বলে দাবি আবেদনকারীদের।
বিআরটিএ সূত্র বলছে, ২০২০ সালের ২৯ জুলাই লাইসেন্স কার্ড মুদ্রণে বিআরটিএ’র সঙ্গে চুক্তি হয় মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স (এমএসপি) প্রাইভেট লিমিটেডে। এই কোম্পানির কাছে এখন কার্ড নেই। ২৫ হাজার স্মার্টকার্ড বিমানবন্দরে দুই সপ্তাহ আগে এলেও সেটি খালাস করতে পারেনি কোম্পানিটি। যদিও এই ২৫ হাজার কার্ডে চাহিদা মেটানো সম্ভব না।
বিআরটিএ সূত্রে আরও জানা যায়, কোম্পানিটি ডলার সংকটের অজুহাত দেখিয়েছে। যখন চুক্তি হয় তখন ডলারের দাম ছিল ৮৫ টাকা। যা বর্তমানে ১২৫ টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে। এই কারণে তারা কার্ড আনতে পারছেন না ভারত থেকে।
চুক্তির তিন বছরে ২৪ লাখ কার্ড সরবরাহের কথা থাকলেও এ পর্যন্ত ১৬ লাখের মত সরবরাহ করা হয়েছে। এখনও প্রায় ৮ লাখ কার্ডের ঘাটতি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, মোটরযানের লাইসেন্স হিসেবে ডুয়েল ইন্টারফেস পলিকার্বনেট স্মার্টকার্ড তৈরির জন্য ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এমএসপি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয় ২০২০ সালের ২৯ জুলাই। ব্যয় ধরা হয় ১২০ কোটি ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা।
চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালের ২৮ জুলাই। এই সময়ের মধ্যে প্রয়োজন অনুযায়ী ৪০ লাখ লাইসেন্স কার্ড সরবরাহ করার কথা প্রতিষ্ঠানটির। প্রতিটি কার্ডে খরচ ধরা হয় ৩০০ টাকা ১৫ পয়সা।
+ There are no comments
Add yours