গত বছরের অক্টোবরে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
আর হামাসের এই হামলায় ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ সামনে এসেছে।
আর এরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ ৯টি দেশ ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের এই সংস্থার অর্থায়ন স্থগিত করেছে। রোববার (২৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর অর্থায়ন স্থগিত করেছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে সংস্থাটি তার বেশ কয়েকজন কর্মীকে বরখাস্ত করার ঘোষণা দেওয়ার পর অর্থায়ন স্থগিতের বিষয়টি সামনে এলো।
যুক্তরাজ্য সরকার বলেছে, তারা ইসরায়েলের অভিযোগে ‘শঙ্কিত’। ইউরোপের এই দেশটি ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, কানাডা, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড এবং জার্মানিও জাতিসংঘের এই সংস্থাকে অতিরিক্ত অর্থায়ন স্থগিত করেছে।
গত শুক্রবার লিখিত এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করে, ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, গত ৭ অক্টোবরের হামলার সঙ্গে ইউএনআরডব্লিউএর অন্তত ১২ জন কর্মীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া গেছে।’
অভিযোগের যথাযথ তদন্ত না হলে ইউএনআরডব্লিউএ-এর তহবিলে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তা বরাদ্দ বন্ধ থাকবে বলেও সেসময় ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ঘোষণা করে,
যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের সংস্থাকে অতিরিক্ত অর্থায়ন স্থগিত করছে। এছাড়া হামলায় জাতিসংঘের কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র ‘অত্যন্ত উদ্বিগ্ন’ বলেও জানানো হয়।
ইইউ বলেছে, তারা ‘সম্পূর্ণ এবং ব্যাপক তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে’ পরবর্তী পদক্ষেপগুলো মূল্যায়ন করবে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, তিনি ‘এই খবরে আতঙ্কিত’।
ইউএনআরডব্লিউএ-র প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, ‘বিলম্ব না করে সত্য কী ঘটেছে তা জানার জন্য অভিযোগের সম্পূর্ণ তদন্ত করা হচ্ছে। মানবিক সহায়তা প্রদানে এজেন্সির ক্ষমতা রক্ষা করার জন্য আমি অবিলম্বে এই স্টাফ সদস্যদের চুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
‘সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডে’ জড়িত থাকলে যেকোনও কর্মীকে জবাবদিহি করা হবে।
+ There are no comments
Add yours