৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই চার পণ্যের শুল্ক কমানোর প্রজ্ঞাপন: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

Estimated read time 1 min read
Ad1

চিনি, ভোজ্যতেল, চাল ও খেজুর- এ চার পণ্যের শুল্ক কমানো সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

তিনি বলেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আসবেন, আমরা আশা করছি তার আগেই চার পণ্যের শুল্ক কমানো সংক্রান্ত অর্ডার (প্রজ্ঞাপন) হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সভায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালসহ অন্যান্য কৃষি পণ্যের দাম নিয়ে আমরা বৈঠকে আলোচনা করেছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, চালের বস্তায় মূল্য তালিকা এবং উৎপাদনের তারিখ ও জাত উল্লেখ থাকতে হবে। এ জন্য কোন কোন এলাকায় কোন কোন জাতের ধান উৎপাদন হয়, তার তালিকা ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্টদের কাছে চাওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, চারটি পণ্য হলো- ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর ও চাল। খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, চাল যেহেতু আমদানি করতে হয় না, তাই উচ্চ ট্যারিফ না দিয়ে রেখে যদি কেউ মনে করেন কম দামে চাল এনে বাজারে বিপণন করবেন, সেক্ষেত্রে খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। বিষয়টি হলো মুক্ত বাজার করে ভোক্তাদের নিরাপত্তা দেওয়া, যাতে বাজারে কখনো সরবরাহ ঘাটতি না থাকে।  

তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমাদের একটি আইন আছে- কৃষি বিপণন আইন ২০১৮। এর অধীনে কৃষি বিপণনের বিধিমালা ২০২১ অনুযায়ী আমাদের উৎপাদিত সব কৃষি পণ্যের এলাকাভিত্তিক যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে কৃষি বিভাগ থেকে আমাদের দেওয়া হবে। একেক জায়গায় উৎপাদন খরচ ও পরিবহন খরচ একেক রকম হবে। এ তথ্যটা দিলে তখন কারওয়ান বাজারে দাম কত, মানিকগঞ্জে বা চট্টগ্রামে দাম কত, তা জানতে পারব। সেজন্য আমরা প্রাইজ ডিসকভারির ব্যবস্থা করব।

তিনি বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা মানে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা নয়। বাজার ব্যবস্থাপনা হলো যৌক্তিক মূল্যে বাজারে পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখা। আর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো খাদ্যের উৎপাদন, সংগ্রহ ও মজুত ব্যবস্থাটাকে ঠিক রাখা। তারা নির্দেশনা দেবে, সেই অনুযায়ী আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমদানি, রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করব।  

চালের বস্তায় দাম বাড়িয়ে লেখা হলে কী করা হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে দাম বাড়িয়ে লেখার কোনো সুযোগ নেই। এখানে ভ্যারাইটি ভিত্তিক দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। মিলার পর্যায়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় আর ভোক্তা পর্যায়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তা দেখবে। তিনটি মন্ত্রণালয় যার যার জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করবে সমন্বয় করে।  

এর আগে পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে চারটি নিত্যপণ্যের ওপর শুল্ক হ্রাস করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৯ জানুয়ারি সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours