রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা, অর্থনৈতিক সংকট, জঙ্গিবাদের উত্থান আর সহিংসতা মাথায় নিয়েই জাতীয় নির্বাচনে যাচ্ছে পাকিস্তান। ঠিক ভোটের আগের দিনই দেশটিতে জোড়া বিস্ফোরণে দুই ডজনখানেক লোকের প্রাণহানি ঘটে গেল।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দেশের ৯০ হাজার ৫৮২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। পাকিস্তান ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার করে না, বরং তাদের আস্থা ব্যালট বাক্সেই।
প্রতিটি আসনে গড়ে ১৯ জন প্রার্থী রয়েছেন। মোট প্রার্থীর মধ্যে ৯৪ শতাংশ বা চার হাজার ৮০৬ জন পুরুষ প্রার্থী, আর নারী প্রার্থী ৩১২ জন। এই তালিকায় দুই ট্রান্সজেন্ডারও রয়েছেন।
পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদে মোট আসন রয়েছে ৩৩৬টি, এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট অনুষ্ঠিত হয়। আর সংরক্ষিত রয়েছে ৭০টি আসন। এর মধ্যে ৬০টি নারীদের জন্য এবং ১০টি অমুসলিমদের জন্য।
সরকার গঠনের জন্য একটি দলকে সংসদে স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখাতে হয়। ন্যূনতম ১৫৯ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন হয়।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ১৬০ এর বেশি। এ বছর বড় প্রতিদ্বন্দ্বী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপল’স পার্টি, যেটির নেতৃত্বে রয়েছেন বিলাওয়াল ভুট্টো ও আসিফ আলি জারদারি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য এবার কেবল একজনই প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি নওয়াজ শরিফ, যিনি অতীতে তিনবার এই পদে ছিলেন।
+ There are no comments
Add yours