পেঁয়াজের দাম আরও বাড়ার শঙ্কা

Estimated read time 1 min read
Ad1

সরবরাহ ঘটতির অজুহাতে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। সম্প্রতি তিন দিনের ব্যবধানে রাজধানী পাইকারী ও খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়ে ছিল কেজিতে ২০-৩০ টাকা।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শুক্রবাদ ও রাজাবাজারের বিক্রেতারা এমন শঙ্কার কথা জানান। সরবরাহ বাড়ায় আজ দাম কিছুটা কমলেও, আগামীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম আরও বাড়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিক্রেতারা। 

বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ রয়েছে। অবৈধভাবে কিছু ভারতীয় পেঁয়াজ দেশে এলেও চাহিদার বেশিরভাগই পূরণ হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ দিয়ে। তবে বর্তমানে বাজারে থাকা মুড়িকাটা পেঁয়াজের মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় সরবরাহে ঘটতি দেখা দিয়েছে। এর ফলে তিন দিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে অনেকখানি।

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু করবে এমন খবরে আজ সরবরাহ বাড়ায দাম কিছুটা কমেছে। তবে ভারতীয় পেঁয়াজ যদি না আসে, তাহলে সামনের দাম আবার বাড়বে। মাস খানেক পর হালি পেঁয়াজ বাজারে ওঠা পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে।

সকালে কারওয়ান বাজারের পাইকারী পেঁয়াজের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে পাবনা ও রাজশাহীর মুড়িকাটা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিক্রি হয়েছিল ১১৫ থেকে ১১৬ টাকা কেজি। এর তিন দিন আগে অর্থাৎ মঙ্গলবার ( ৬ ফেব্রুয়ারি) একই বাজারে এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৯০ টাকা কেজি।

খুচরা বাজারে বর্তমানে মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা চার-পাঁচ দিন আগে ১শ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। বিক্রেতারা পেঁয়াজের সরবরাহ কমের কথা বললেও কারওয়ান বাজার ঘুরে পেঁয়াজের কোনো সংকট দেখা যায়নি। বরং বস্তার পর বস্তা পেঁয়াজ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

এদিকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম বলেছেন, পেঁয়াজের দাম বাড়ায় ভোক্তা অধিকারের পক্ষ থেকে বাজারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ বিক্রয় প্রতিরোধ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours