এবার মুশতাক-তিশাকে হত্যার হুমকি

Estimated read time 1 min read
Ad1

বাংলাদেশের আলোচিত ও সমালোচিত ‘অসম জুটি’ খন্দকার মুশতাক আহমেদ এবং তার স্ত্রী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে এমন অভিযোগ করে ভিডিও বার্তা দেন মুশতাক-তিশা। এর আগে গত শুক্রবার তোপের মুখে একুশের বইমেলা থেকে বের হয়ে যান এই দম্পতি।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে খন্দকার মুশতাক কালবেলাকে বলেন, আপনারা আমাদের ভিডিও বার্তা দেখেছেন। ভিডিওতে শুধু আমাদেরই দেখিয়েছি। অনেকেই বিষয়টিকে মিথ্যা বলে মন্তব্য করেছেন। আমাদের যে হুমকি দেওয়া হয়েছে সেই ভিডিওটি গণমাধ্যমের কাছে আজ পাঠাব। তখন সকলেই জানবে বিষয়টি সত্য কি না।

রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ একই কলেজের শিক্ষার্থী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন। তাদের বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় উঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

সেই সমালোচনা আরও তীব্র হয়ে ওঠে একুশের মেলায় বই প্রকাশের পর। মেলায় নিয়মিত তার বই ছাপানোর সেই প্রকাশনী স্টলে গেলে গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) কিছু মানুষের তোপের মুখে মেলা ছাড়তে বাধ্য হয় এই ‘অসম’ জুটি। নিরাপত্তা চেয়ে শনিবার রাত ৯টার পর খন্দকার মুশতাক আহমেদ শাহবাগ থানায় গিয়ে জিডি করেন।

লাইভে এসে খন্দকার মুশতাকের স্ত্রী তিশা বলেন, আমি একজন নারী আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই? আমরা সম্পূর্ণ শরিয়তসম্মতভাবে বিয়ে করেছি। কিন্তু আমাদের এভাবে প্রকাশ্যে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

খন্দকার মুশতাকের করা জিডিতে বলা হয়েছে, একুশে বইমেলা উপলক্ষে মিজান পাবলিশার্স থেকে তাদের ‘তিশা অ্যান্ড মুশতাক’ ও ‘তিশার ভালবাসা’ নামে দুটি বই প্রকাশ হয়েছে। প্রকাশনা ও পাঠকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের উদ্দেশে শুক্রবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত অমর একুশে বইমেলায় যান তারা। এ সময় ক্রেতা ও ভক্তদের সঙ্গে মতবিনিময়, ছবি তোলা ও অটোগ্রাফ দিচ্ছিলেন।

হঠাৎ উপস্থিত অজ্ঞাতনামা কিছু লোকজন তাদের হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশে নানা ধরনের মন্তব্য করতে থাকে। এ সময় খন্দকার মুশতাক আহমেদের প্রকাশিত কয়েকটি বই ছিঁড়ে ফেলা ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours