পবিত্র দরসুল কোরআন মাহফিলের সমাপনী দিবস : হাজারো মানুষের উপচে পড়া ভীড়

Estimated read time 1 min read
Ad1

বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মারুফ আল মাদানী বলেছেন- ইসলামের সংবিধিবদ্ধ রীতিনীতি, বিধি-বিধান সম্বলিত ঐশীগ্রন্থ পবিত্র আল কোরআন হচ্ছে তাবৎ বিশ্ববাসীর জন্য পথ নির্দেশক। যেটির মর্মবাণীর নিরবচ্ছিন্ন প্রচারের মাধ্যমে মহানবী (দ:) তৎকালীন সবচেয়ে বর্বর আরব জনগোষ্ঠিকে পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠতম সুশীল জাতিতে পরিণত করেছিলেন।

পবিত্র কোরআনের মধ্যেই নিহিত রয়েছে সাম্য ও শান্তির ফল্গুধারা। আর কোরআন বিমূখতাই বিশ্বশান্তির অন্তরায় বলে তিনি মন্তব্য করেন। প্রথিতযশা আলেমেদ্বীন মাহফিলের প্রধান মুফাসসির শায়খুল হাদিস অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর সুরা ত্বোহা এর দরস পেশ করতে গিয়ে বলেছেন কোরআনের মর্মবাণীর মাহাত্ন্য- গুরুত্ব উপেক্ষিত হওয়ায় মুসলিম কমিউনিটিতে অনৈক্য-বিভক্তি ও বিভাজন বর্ধিঞ্চু। যার নেতিবাচক পরিণতিতে ধর্মানুরাগী মানুষের একটি অংশ একদিকে ক্রমশঃ ভ্রষ্টতার দিকে ধাবিত হচ্ছে, অপরদিকে কোরআনে পরিপূর্ণভাবে নিষিদ্ধ এমন কতিপয় গর্হিত কাজকে পূণ্য হিসেবে মনে করছে অনেকেই । পাশাপাশি সামাজিক জীবনে অভিশপ্ত জঙ্গিবাদসহ বিভিন্ন মাজহাবি ফেতনা বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

এক্ষেত্রে মুসলিম মিল্লাত এর মধ্যে পবিত্র ঐশীগ্রন্থের সঠিক চর্চা ও অনুশীলনের মাধ্যমে জাতীয় জীবনে একটি সুন্দর ও মানবিক সমাজ বিনির্মানের দ্বীপ্তপ্রত্যয় নিয়ে সকলেরই এগিয়ে আসার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করন। আল্লামা কাজী জসিম উদ্দীন বলেছেন-বিশ্ব অঙ্গনে ফিলিস্তিনিরা হচ্ছে ভাগ্যবিড়ম্বিত একটি জাতি। ভূমিজসন্তান হয়েও ফিলিস্তিনিরা প্রায় শতবর্ষ কাল ধরে ভূঁইফোড় ইহুদী দখলদার বাহিনীর নিকট মার খাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

ইসরাইলের দখলদারিত্বের মতো নেতিবাচক মনোবৃত্তি, অন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদাসীনতা, পার্শবর্তী মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের নামমাত্র প্রতিবাদ ও পদলেহী চরিত্র তথা পশ্চিমাদের কর্তৃক ইসরাইলকে অর্থ- অস্ত্র সহযোগিতার মতো বিষয়াদি এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার অন্তরায় বলে তিনি মন্তব্য করেন। তাই এটির টেকসই সমাধান এবং এ অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিন রাস্ট্রই একমাত্র বিকল্প বলে তিনি উল্লেখ করেন

বহুমূখী সেবাধর্মী সংস্থা আঞ্জুমানে খুদ্দামুল মুসলেমীন বাংলাদেশ (একেএমবি) এর উদ্যোগে অদ্য ২ মার্চ শনিবার বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ২১তম ঐতিহাসিক পবিত্র দরসুল কোরআন মাহফিলে বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন। সংস্থার চেয়ারম্যান আল্লামা কাজী জসিম উদ্দিন এর সভাপতিত্বে মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মারুফ।

প্রধান দরসকারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রথিতযশা আলেমেদ্বীন শায়খুল হাদিস অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর। বিষয় ভিত্তিক দরস পেশ করেন- পীরে তরিকত আল্লামা ছৈয়দ নাছেরুল হক চিশতী, আল্লামা শরীফ মোহাম্মদ সোলায়মান আল হোসাইনী, অধ্যক্ষ আল্লামা এস এম ফরিদ উদ্দিন, পীরে তরিকত আল্লামা সালাহউদ্দীন লতিফী, আল্লামা ছালেহ আহমদ আনসারী, পীরে তরিকত আল্লামা মোশাররফ হোসেন হেলালী, বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত এর সাংগঠনিক সম্পাদক আল্লামা মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদী, শায়খুল হাদিস আল্লামা এনামুল হক সিকদার, অধ্যক্ষ আল্লামা হাসান রেজা আলকাদেরী, পীরে তরিকত সাইফুল্লাহ ফারুকী চরন্দ্বীপি।

মাহফিলে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন-মাহফিল প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক স ম হামেদ হোসাইন, সচিব মাওলানা এম ওয়াহেদ মুরাদ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী, এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর, অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন তৈয়বী, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হান্নান, অধ্যাপক সৈয়দ হাফেজ আহমদ, স ম শহিদুল হক ফারুকী, অধ্যক্ষ মাওলানা আবু সালেহ, মাওলানা জাকের আহমদ সিদ্দিকী, মাওলানা নাছির উদ্দিন আনোয়ারী, মুফতি মাওলানা হেলাল উদ্দীন আলকাদেরী, মুফতি মাওলানা নিজাম উদ্দীন নোমানী, আলহাজ্ব ওসমান খান সি আই পি, মাওলানা মোরশেদুল হক আলকাদেরী, মুফতি মাওলানা আসাদুজ্জামান, আল্লামা হারুন মোস্তফা আল রশিদ, মাওলানা জয়নাল আবেদীন জেহাদী, মাওলানা রফিকুল ইসলাম নেজামী,এ এম মঈনউদ্দীন চৌধুরী হালিম, মাওলানা ইয়াহিয়া ওয়াহেদী, মাওলানা আইয়ুব বদরী, মাওলানা ছৈয়দ জাহিদ কাদেরী, মাওলানা শহিদুল ইসলাম চৌধুরী প্রমূখ।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours