পশ্চিমা বিশ্বকে অবারও হুঁশিয়ারি দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, রাশিয়া পারমাণবিক যুদ্ধের জন্য প্রযুক্তিগতভাবে প্রস্তুত।
বুধবার (১৩ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পুতিন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনে সৈন্য পাঠায় তবে এটি সংঘাতের কারণ হবে। রাশিয়া পারমাণবিক যুদ্ধের জন্য প্রযুক্তিগতভাবে প্রস্তুত রয়েছে।
নির্বাচনের বিষয়টি সামনে এনে পুতিন বলেন, আগামী ১৫ থেকে ১৭ মার্চ রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। পুতিন আগামী ছয় বছরের জন্য আবারও ক্ষমতায় আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন। এই মুহূর্তে রাশিয়া ইউক্রেনে পারমাণবিক যুদ্ধ চালানো তার জন্য তার কোনো ‘তাড়াহুড়া’ নেই।
৭১ বছর বয়সী পুতিন রাশিয়ার একটি টেলিভিশন চ্যানেল রাশিয়া-১ এবং সংবাদ সংস্থা আরআইএ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, অবশ্যই রাশিয়া পারমাণবিক ও প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।’
তিনি বলেন, (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে) রাশিয়া-আমেরিকা সম্পর্ক এবং কৌশলগত সংযমের ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণে বিশেষজ্ঞ রয়েছে। তার ভাষায়, ‘আমি মনে করি না, এখানে সবকিছু (পারমাণবিক সংঘর্ষ) তাড়াহুড়ো করে হবে, তবে আমরা এর জন্য প্রস্তুত।’
এদিকে বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, তাদের ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে একটি স্থগিত সুরক্ষা সহায়তা বিল অনুমোদনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে তারা। যা নিশ্চিত করবে যে ইউক্রেনীয় সেনারা যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র পেয়েছে। যে যুদ্ধ তৃতীয় বছর চলমান।
ইউক্রেনের যুদ্ধ ১৯৬২ সালের কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর থেকে পশ্চিমের সাথে রাশিয়ার সম্পর্কের গভীরতম সংকটের সূচনা করেছে এবং পুতিন বেশ কয়েকবার সতর্ক করে বলেছেন, পশ্চিমারা ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য সৈন্য পাঠালে সেটি পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি করবে।
এদিকে মার্কিন নির্বাচনের বছরে পশ্চিমারা কীভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কিয়েভকে সমর্থন করবে তা নিয়ে কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েছে। কিয়েভ প্রশাসন বলেছে, ইউক্রেনের অস্তিত্ব মুছে ফেলার জন্য পরিকল্পিত একটি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষা করছে তারা।
+ There are no comments
Add yours