নবগঙ্গা, কুমার, ফটকি, চিত্র, গড়াই, মধুমতি, হানু, বেগবতি নদ-নদীগুলোতে বছরের পর বছর ধরে জমা পলি অপসারণ না করায় সেগুলো এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। এতে পরিবেশের চরম বিপর্যয় ঘটছে।
সেইসঙ্গে জীববৈচিত্র্য পড়েছে চরম হুমকিতে। জেলার আটটি নদ-নদী এখন প্রায় পানিশূন্য। এসব নদ-নদী বুকে জেগে উঠা চরে এখন কৃষকরা ধান, পাট, গম, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ফসল আবাদ করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, নদী পাড়ের জেলা মাগুরার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ছোট বড় আটটি নদ-নদী। ৩০ বছর আগেও এসব নদীর বুকে চলাচল করতো মালবোঝাই বড় বড় পালতোলা নৌকা। পানি প্রবাহ না থাকা নদীর তলদেশে পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় নদীগুলো তার নব্যতা হারিয়েছে। সমতল থেকে এসব নদীর গভীরতা এখন স্থানভেদে মাত্র ৩ থেকে ৫ ফুট। সরকারিভাবে নদী খনন করলেও সেটি তেমন কাজে আসেনি।
গড়াই নদী দিন দিন নদী প্রবাহ কমে যাওয়ায় পলি জমে ক্রমান্বয়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে বেশ কিছু স্থানে তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। এছাড়া মধুমতি নদীর বিভিন্নস্থানে চর জেগে উঠেছে। শুধু গাড়াই-মধুমতি নয়, হান নদীর পানিপ্রবাহ না থাকায় শুষ্ক মৌসুমে তাতে পানি থাকে না। কুমার নদীও পলি পড়ে দিন দিন ভরাট হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours