সিলেটের সব পর্যটনকেন্দ্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

Estimated read time 1 min read
Ad1

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত হয়েছে সিলেটের সীমান্তবর্তী ৫টি উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন সাড়ে ৫ লাখের বেশি মানুষ।

নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোতে অবস্থিত পর্যটন কেন্দ্রগুলো। এ অবস্থায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় গোয়াইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, জাফলং,বিছানাকান্দি , রাতারগুল, পান্থুমাইসহ সব ক’টি পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে বুধবার নোটিশ দিয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। কেননা,পাহাড়ি ঢলে নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়ে এসব পর্যটনকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যে কারণে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ সাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, অবিরাম বর্ষণ ও ঢলে ধলাই নদীর পানি অব্যাহতভাবে বেড়ে পর্যটনকেন্দ্রগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রসহ সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

সিলেটের উজানে অবস্থান ভারতের মেঘালয় ও আসাম রাজ্যে। এসব রাজ্যের ভারী বৃষ্টি হলে বৃষ্টির পানির ঢল সিলেটের দিকে নেমে আসে।

এসব উপজেলার ৪৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩৩টি প্লাবিত হয়ে সাড়ে ৫ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য চারটি উপজেলায় ২১৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এরমধ্যে গোয়াইনঘাটে ৫৬টি, জৈন্তাপুরে ৪৮ টি, কানাইঘাটে ১৮টি, কোম্পানীগঞ্জে ৩৫টি ও জকিগঞ্জে ৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে দুর্গতরা আশ্রয় নিয়েছেন।

প্রতিটি উপজেলার দুর্গত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ২০০ প্যাকেট করে শুকনা খাবার, ১৫ মেট্রিক টন করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours