মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন, সাতকানিয়া(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডে অন্তত দশটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হওয়ায় প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে কিছুই রক্ষা করতে পারেনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা। বুধবার (০৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে সাতকানিয়া উপজেলার ৮ নং ঢেমশা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের হাসান বলীর পাড়ায়।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হারুনুন রশিদ, নাসির উদ্দিন, মহিউদ্দিন, আব্দুস ছফুর, আব্দুল গফুর, মোহাম্মদ ইউসুফ, সাজ্জাদ হোসেন, শাহাদাত হোসেন, আবুল হোসেন ও আবদুল মালেকের বসত ঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। এতে অন্তত অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।
ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল গফুর বলেন, আমরা নিঃস্ব হয়ে গেলাম। মাথা গোঁজার ঠাঁই নাই। দিন কিভাবে পার করব আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন। সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের লিডার আব্দুস সবুর জানান, রাত আনুমানিক পৌণে ফোনে দুইটার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। প্রাথমিকভাবে আগুনের সূত্রপাতের কারণ জানা সম্ভব হয়নি।
তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর অভিযোগ, খবর দেওয়ার ঘন্টাখানেক পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিস এর কর্মীরা। তারা যদি সঠিক সময়ে ঘটনাস্থলে আসতো তাহলে অন্তত চার/পাঁচটা বাড়ি অক্ষত থাকতো।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা প্রদান করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ। সাতকানিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ঢেমশা ইউনিয়ন সেক্রেটারি ওসমান গনি, সাবেক মেম্বার নুরুল আলম, ইউনিয়ন জামায়াতের দায়িত্বশীল নুরুল আমিন, নজরুল ইসলাম, মোঃ জাফর ও মোহাম্মদ রুবেল প্রমূখ।
এসময় অন্যান্যদের মাঝে সাতকানিয়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মো: আরিফুর রহমান আফজালী ও সেক্রেটারি এইচ এম জাবেদ উপস্থিত ছিলেন।
+ There are no comments
Add yours