ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে প্যাথোলজিতে জনবল সংকট, টেস্টের মানি রিসিভ পাচ্ছেন না রোগী

Estimated read time 1 min read
Ad1

মোঃ আমির হোসেন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালকে ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের দালালমুক্ত করায় চাপ বেড়েছে প্যাথলোজি বিভাগে। রবি ও সোমবারে গড় হিসেবে প্রতিদিন প্রায় শ’খানেক রোগী চিকিৎসকের দেয়া বিভিন্ন টেস্ট নিয়ে প্যাথলোজি বিভাগে ভিড় জমান। প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় টেস্টের নমুনা সংগ্রহ ও রিপোর্ট নিয়ে ব্যস্ত কর্মরতরা। সরকার নির্ধারিত ফি রোগীরা পরিশোধ করলে কর্মরতরা হাসপাতালের রেজিস্ট্রার বুকে লিপিবদ্ধ করলেও পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় মানি রিসিভ দিতে পারছেন না প্যাথলোজিতে কর্মরতরা।

সোমবার সকালে সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগের টিকিট সংগ্রহ করেন রহিমা বেগম (২৫)। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ১৩৫৪৯/৩৬নং টিকিটে তিনি প্যাথলোজি বিভাগ থেকে ডায়াবেটিস আছে কিনা সে জন্য রক্ত পরীক্ষা করা। তার কাছ থেকে পরীক্ষার ফি বাবদ রাখা হয় ৬০ টাকা। রহিমাকে দেয়া হয়নি কোন মানি রিসিভ। শুধু রহিমাই নন, এভাবে প্রতিদিন প্যাথলোজিতে টেস্ট করাতে আসা রোগীরা টেস্ট করান এবং টাকাও দেন কিন্তু পাচ্ছেন না কোন মানি রিসিভ।
অভিযোগ রয়েছে মানি রিসিভ না দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার পরীক্ষা করে মুখে মুখে হিসেব রেখে অফিসিয়াল কার্যক্রম শেষ করেন। এরফলে পরীক্ষা ফি’র বড় একটা অংশ কর্মরতরা ভাগাভাগি করে নেন।

প্যাথলোজি বিভাগে কর্মরত আঃ সত্তার ভাগাভাগির বিষয়টা সম্পুর্ণ অস্বীকার করে জানান, আমরা ৩জন মানুষ এখানে কাজ করি। আমাদের দায়িত্ব শুধু টেস্টের জন্য নমুনা নেয়া এবং রিপোর্ট দেয়া। প্রতিদিন যে পরিমাণে রোগী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে আসেন তাঁদের কাঙ্খিত সেবা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। এসব কাজ করে মানি রিসিভ দিতে গেলে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার সেবা বিঘিœত হবে। সরকারীভাবে ক্যাশ কাউন্টারের ব্যবস্থা করা হলে টেস্টের জন্য আসা রোগীদের মানি রিসিভ দেয়া সম্ভব হতো।

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. জাফর আলী দেওয়ান জানান, হাসপাতাল একটি রাস্ট্রীয় সম্পত্তি। সকল নাগরিকের সেবা নেয়ার সমান অধিকার আছে। প্যাথলোজিতে মানি রিসিভ দেয়া না হলে টেস্ট করানো রোগীরা নিজেদের উদ্যোগে চেয়ে নিবে বলেও জানান তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours