জয়নাল আবেদীন সীতাকুণ্ড
১৬ মার্চ ২০২১ মঙ্গলবার বাদে মাগরীব গুলিয়াখালী গ্রামের স্হানীয় জনপ্রতিনিধি নুরুল আমীন শফি মেম্বর (প্যানেল চেয়ারম্যান) এর ভাইকে চুরিকাঘাতসহ কিরিছ ও রড় দিয়ে কুপিয়েছে এবং মেরে আহত করেছে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীগণ। মাথায় হাতে পাঁয়ে মারাত্নক জখম হয়েছে রবিউল। পা ভেঁঙে দু’টুকরো হয়েছে।
জানা গেছে, গত ক’দিন পূর্বে মুরাদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম এর ভাইপোর সাথে একই গ্রামের শহীদুল ইসলামের ফুফাত ভাই জেবল হোসেন কালার ছেলের সাথে হাতাহাতিসহ ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার মীমাংসার উদ্দেশ্যে গতকাল ১৫ মার্চ সীতাকুন্ড মডেল থানায় এসআই মোঃ আল আমীন এর মধ্যস্হতায় একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বৈঠকে নুরুল আমীন শফি মেম্বর, মুরাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি খোরশেদ আলম ও যুবলীগ মুরাদপুর ইউনিয়ন এর আহ্বায়ক শহীদুল ইসলামসহ এলাকার গণ্যমান্য মানুষজন বসেছিলেন। বৈঠকে খোরশেদ শহীদুল বাড়াবাড়ি হলে বৈঠক অমিমাংসিতভাবে শেষ হয়। থানা থেকে বের হয়ে কলেজ রোড় মোড় এলে খোরশেদ আলমের অনুসারী সন্ত্রাসীগণ শহীদুল ইসলাম এর ভাই রকিয়তউল্যাহকে বেধড়ক পিটায় ও থালা দিয়ে মাথায় মারাত্নক জখম করে। তাঁকে ঐ মুহুর্তে সীতাকুন্ড স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স এ পাঠালে কর্তৃব্যরতঃ চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এদিকে শহীদুল ইসলামের বন্ধু শাহ আলমসহ আজ ১৬ মার্চ ‘৬-৭’জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গুলিয়াখালী যার যার বাড়ীতে ঢুকতে গেলে বাঁধ সাজে খোরশেদ আলম গংদের। ওরা ঐ সময়ে শাহ আলমকে আঘাত করতে তেড়ে আসলে নুরুল আমীন শফি মেম্বর এর ভাই রবিউল হোসেন সওদাগর থামানোর চেষ্টা করে।হঠাৎ তাঁকে মাথায় হাতে পাঁয়ে কিরিছ দিয়ে কোপ দেয় খোরশেদ আলম এর বাড়ীর ভাইপো-ভাগিনাসহ ঐ বাড়ীর লোকজন।
বিষয়টি সীতাকুন্ড সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আশরাফুল করিম ও সীতাকুন্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদকে জানানো হলে তারা পুলিশ ফোর্স গুলিয়াখালী পাঠিয়ে এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখার চেষ্টা করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ এলাকায় অবস্হান করছিলেন এবং কোন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এদিকে এলাকার উত্তেজিত জনতা রাগে বিক্ষুব্ধ জনসাধারন এক হয়ে খোরশেদ আলমকে চেয়ারম্যান পদে দেখতে চাই সম্বলিত সকল প্রকার ব্যানারগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে সূত্রে প্রকাশ।
গতকাল শহীদুল ইসলামের সহকর্মী লিটন ও আকবরকে ও বেধড়ক পিঠায় বলে তথ্য সূত্রে জানা যায়। আজ ১৬ মার্চ সন্ত্রাসী হামলায় আহত রবিউল হোসেন সওদাগর এর শারিরীক অবস্হা দেখবার জন্য এসআই সেলিমসহ ৩ কনস্টেবল উপস্হিত ছিলেন। উপস্হিত ছিলেন আহত রবিউল হোসেন এর মামাত ভাই পুলিশ কর্মকর্তা এনামুল। জানা যায়, রবিউল হোসেন এর আপন তিনভাই পুলিশ বাহিনীতে কর্মরতঃ। ভাইয়ের উপর সন্ত্রাসী হামলার কথা শুনে তারা জরুরী ভিত্তিতে ছুটিতে বাড়ী আসছেন বলে জানায় প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল আমীন শফি। রবিউল হোসেন সওদাগর এর পায়ের হাঁড় ভেঁঙে যায়। হাতে ও মাথায় কোপ লাগে। সেলাই হয় কয়েকটি। অবস্হা সংকটাপন্ন। এসআই সেলিম সন্ত্রাসী হামলার কথা শিকার করেছেন।
তিনি বলেন, আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহন করবে পুলিশ। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত গুলিয়াখালীতে থমথমে অবস্হা বিরাজ করছে। গুলিয়াখালীবাসী মনে করে, প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্হা গ্রহন না করলে অনাকাংখিত বা অনভিপ্রেত বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত চোরাগুপ্তা হামলায় হতাহত হবার সমুদয় সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসনকে যথাযথ আইনের প্রয়োগ ঘটিয়ে প্রকৃত চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনবার জন্য দাবী জানিয়েছেন নুরুল আমীন শফি মেম্বর, যুবলীগ নেতা শহীদুল ইসলাম ও এলাকার গণ্যমান্য নেতৃস্হানীয় নেতৃবৃন্দগণ।
+ There are no comments
Add yours