ইউনুস আলী, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে হিন্দু পরিবারের কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীকে অপহরণের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে এক মাদ্রাসা সুপারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, মাদ্রাসা সুপার নিজে কাজী হিসেবে উপস্থিত থেকে অপহৃতার সাথে অপহরণকারীর বিবাহ রেজিষ্ট্রি করে তাদের নিরাপদে অজ্ঞাত স্থানে যাওয়ার সুযোগ তৈরী করে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার যমুনা কালার পাতা নামক স্থানে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের কামদেব গ্রামের বেনু চন্দ্র ধাঁ এর কলেজ পড়ুয়া কন্যা দীপ্তি রানী ধাঁ (১৮) গত ১৩ মার্চ সকাল আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে তার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য নিজ বাড়ি থেকে অপরিচিত অটোরিক্সাযোগে উপজেলার পাঁচপীর বাজারের দিকে আসছিল। পথে যমুনা কালার পাতা নামক স্থানে অটোরিক্সা পৌঁছালে আনুমানিক সকাল সাড়ে দশটার দিকে সেখানে আগে থেকে উৎপেতে থাকা মোঃ আসাদুজ্জামান (২০) তার কয়েকজন সহপাঠীসহ অটোরিক্সার গতিরোধ করে দিপ্তীরানী ধাঁকে জোরপূর্বক নামিয়ে একটি কালো রঙের অপেক্ষমান মাইক্রোবাসে তুলে পাঁচপীর বাজারের দিকে চলে যায়। এরপর থেকে আর দীপ্তি রানী ধাঁ কে খুজে পাওয়া যায়নি বলে তার পরিবার জানায়।
অপহরণকারী আসাদুজ্জামান পিতা মোস্তাফিজুর রহমান (দুলাল) এর বাড়ি পার্শ্ববর্তী রাজারহাট উপজেলার বালাকান্দি নলকাটা গ্রামে। জানাগেছে, তারা উভয়েই পাচঁপীর ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী। কলেজে যাওয়ার পর থেকে আসাদুজ্জামান দিপ্তীরানীকে নানা ভাবে উত্ত্যক্ত করত বলে অভিযোগ করেন তার পিতা।
এ ব্যাপারে উলিপুর থানায় দীপ্তি রানী ধাঁ এর পিতা বেনুচন্দ্র ধাঁ কন্যা অপহরণের অভিযোগে অপহরণকারী আসাদুজ্জামান ও মধুপুর সরকার পাড়া হরিফিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার আহম্মদ আলী মুন্সিসহ ৯ জনকে আসামীকরে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
এরপরই পুলিশের এস.আই মশিউর রহমান তদন্তে নামেন এবং ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে মধুপুর সরকার পাড়া হরিফিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আহম্মদ আলী মুন্সি ও রাশেদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠান।
এছাড়াও, মাদ্রাসা সুপার আহম্মদ আলী এলাকায় গোপনে বাল্যবিবাহ পরানোসহ মাদ্রাসায় চাকরি দেওয়ার নামে অনেক চাকুরী প্রত্যাশীর সাথে আর্থিক প্রতারণা করেছে বলে এলাকায় ব্যাপক জনশ্রুতি রয়েছে।
+ There are no comments
Add yours