একশ জনের অধিক অতিথি সমাবেশ নিষিদ্ধ

Estimated read time 1 min read
Ad1

খবর বাংলা ডেস্ক

করোনাভাইরাসের ঝুঁকি মোকাবিলায় এখন থেকে ক্লাব, কমিউনিটি সেন্টার, কনভেনশন হল,হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানসহ সব অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি অতিথির সমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যবিধি না মানায় চট্টগ্রামসহ সারাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বেড়ে গেছে উল্লেখ করে সরকারের মন্ত্রী পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটি করা হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।

সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠান চলাকালে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি ও কমপক্ষে ৩ ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বাংলা নিউজ।

এ ব্যাপারে কমিউনিটি সেন্টার ও হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিকদের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রকাশ্য স্থানে সভা-সমাবেশ ওরশ, মিলাদ মাহফিল, মহোৎসব ও অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান আপাতত বন্ধ থাকবে।

এ নির্দেশ অমান্য করলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোববার (২১ মার্চ) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “করোনা পরিস্থিতিতে মাস্ক পরাসহ শতভাগ স্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সমুদ্রসৈকত, পার্ক, বিনোদন কেন্দ্র ও অন্যান্য দর্শনীয় স্থানে জেলা প্রশাসনের মেবাইল কোর্ট অভিযানের পাশাপাশি অভিযান চলাকালে মানুষের মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং জোরদার করা হচ্ছে।” যেসব সরকারি কর্মকর্তার অফিস নেই কিংবা জরাজীর্ণ অফিস রয়েছে তাদের কার্যক্রম সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য একই ভবনে অফিস করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান ডিসি।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম জাকারিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী সাব্বির ইকবাল, সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (উত্তর) মো. মশিউদ্দৌলা রেজা, জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট বিকাশ চন্দ্র দাস, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. সাহাবউদ্দিন, নগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল (রাউজান), হোসাইন মো. আবু তৈয়ব (ফটিকছড়ি), স্বজন কুমার তালুকদার (রাঙ্গুনিয়া), এমএ মোতালেব (সাতকানিয়া), মো. রাশেদুল আলম চৌধুরী (হাটহাজারী), গালিব চৌধুরী (বাঁশখালী), ফারুক চৌধুরী (কর্ণফুলী), মো. জসীম উদ্দিন (মিরসরাই), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় (সীতাকুণ্ড), মোহাম্মদ রুহুল আমীন (হাটহাজারী), মোমেনা আক্তার (বাঁশখালী), শাহিনা সুলতানা (কর্ণফুলী), মাসুদুর রহমান (রাঙ্গুনিয়া), মিনহাজুর রহমান (মিরসরাই), সাহেদুল আরেফিন (ফটিকছড়ি), জোনায়েদ কবির সোহাগ (রাউজান), নাজমুন নাহার (বোয়ালখালী), ফয়সাল আহমেদ (পটিয়া), জোবায়ের হোসেন (আনোয়ারা), ইমতিয়াজ হোসেন (চন্দনাইশ), আহসান হাবিব জিতু (লোহাগাড়া), মো. আবদুস সালাম চৌধুরী (সাতকানিয়া) প্রমুখ।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours