
সুফি মিজানের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি সুফিবাদী সুন্নি জনতার
ইসলামের সুফিতাত্বিক মরমী গবেষক, বিশিষ্ট শিল্পপতি, সর্বজনশ্রদ্বেয় ব্যক্তিত্ব পিএচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান একুশে পদকপ্রাপ্ত সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে ভিত্তিহীন মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের জুলাই বিপ্লব স্মৃতি হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। সর্বস্তরের সুফিবাদী সুন্নি জনতা বাংলাদেশের ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
একজন বিশিষ্ট শিল্পপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টাসহ সরকারের সর্বমহলে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শাহাদাতে কারবালা মাহফিল পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক কামাল উদ্দিন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘শিল্পবিপ্লবের পথিকৃৎ, একুশে পদকে ভূষিত মানবদরদী শিল্পপতি সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান শুধু সফল শিল্পপতি নন, তিনি সুফিবাদী ধার্মিক সুন্নি মুসলমান। সম্পদ তাকেঁ অহংকারী করেনি বরং সম্পদ তাঁকে বহুগুণে করেছে সহনশীল, নম্র, পরোপকারী ও দানশীল। বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সমাজের মধ্যে সৎ দুর্নীতিমুক্ত ব্যবসায়ী সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।’
বাংলাদেশের ব্যাংকিং বীমা সেক্টরে পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের চেক কখনো ডিজ অনার হওয়ার কোন রের্কড নাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ব্যাংক ও ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর থেকে নেওয়া লোনে এ পর্যন্ত খেলাপী গ্রাহক হওয়ার নজির নেই। সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সমাজের মধ্যে এটি এক বিরল নজির স্থাপন করেছে। যা সর্বস্তরের ব্যাংকারদের মুখে মুখে সমাদৃত। তারঁ উপস্থাপিত ইসলামের আর্দশিক শিক্ষা-সংস্কৃতির প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে এবং চরিত্রমাধুর্য্যে মুগ্ধ হয়ে দেশে বিদেশে বহু মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেন।’
পিএইচপি কুরআনের আলো, আন্তজাতিক ক্কিরাত সম্মেলন এবং আন্তজাতিক শাহাদায়ে কারবালা মাহফিলের প্রধান পৃষ্ঠপোষকতার দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে ইসলামের শাশ্বত আদর্শ, মৌলিক ঈমান আক্কীদাহ নৈতিক শিক্ষা, সংস্কৃতির বিকাশে ভূমিকা রেখে আসছেন। তার বহুমুখী ও বহুমাত্রিক অবদান জাতীয় ও আন্তজাতিক পরিমন্ডলে ব্যাপ্ত।
তিনি বহু মসজিদ মাদরাসা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, হিফযখানা, ইয়াতীমখানাসহ অসংখ্য শিক্ষা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা, সংস্কার ও সম্প্রসারণে অসাধারণ অবদান রাখেন। রাজধানী ঢাকায় ইউআইটিএস এবং নারায়নগঞ্জের কাঞ্জনে দুস্থ অসহায়দের কল্যাণে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি প্রকাশ্যে ও গোপনে অগণিত শিক্ষার্থীর পড়ালেখার খরচ বহন করেন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, কিডনি ফাউন্ডেশনসহ জনহিতকর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তার অসাধারণ অবদান রয়েছে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মিজানুস সালাম জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করে তা পরিচালনায় যাবতীয় ব্যয় বহন করে আসছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশ্বের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় মিশর জামিউল আযহারে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী মেধাবী ছাত্রদের বৃত্তি প্রদান করেন এবং এতে ভর্তিচ্ছু বাংলাদেশী ছাত্রদের প্রস্তুতির জন্য কোচিং সেন্টারসহ আরবী ভাষা ও সাহিত্যে যোগ্যতা ও দক্ষতা অর্জনে মিজানুস সালাম আরবী ভাষা এবং ইফতাহ্ কোর্স প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি প্রতি বছর অনেককে পবিত্র হজ, উমরাহ ও মদীনাহ মুনাওওয়ারাহ্ যিয়ারতের ব্যবস্থা করেন এবং বিমান বন্দরে হজযাত্রীদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করে থাকেন।
করোনা মহামারীকালে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং তাদের পরিবারে খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করেন জানিয়ে অধ্যাপক কামাল উদ্দিন বলেন, ‘তখন এ নাজুক পরিস্থিতি ও প্রতিকুল অবস্থায় তিনি কাউকে তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরিচ্যুত করেননি। বন্যাদুর্গত মানুষদের নিজের কারখানায় আশ্রয় দিয়ে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করেন এবং ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ তহবিলেও দান-অনুদান প্রদান করেন।’
সুফি মিজানকে দেশের শিল্প বিপ্লবের অন্যতম পথিকৃৎ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শিল্পায়নে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বহু পুরষ্কার সনদ ও সম্মাননা লাভ করেছেন। দেশে-বিদেশে বহু খানক্কাহ-আস্তানা, দরগাহ-দরবার,উলামা-মাশায়িখ ও সুফি-দরবেশদের সাথে তারঁ সুসম্পর্ক রয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের চেয়ারম্যান আল্লামা কাজী মঈনুদ্দিন আশরাফী, মুফতি অছিয়র রহমান, পিপলস ইন্সুরেন্সের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিরাজুল মোস্তফা, মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ একরামুল করিম, অধ্যক্ষ আল্লামা এসএস ফরিদ উদ্দিন, এইচ,এম মুজিবুল হক শুক্কুর, এএম মঈনুদ্দিন চৌধুরী হালিম, আবদুল হাই মাসুম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
+ There are no comments
Add yours