
সাবেক তিন সিইসির বিরুদ্ধে ইসিতে অভিযোগ বিএনপির, থানায় মামলা
ডেস্ক নিউজ:
দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনারদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
রোববার (২২ জুন) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা এ সংক্রান্ত আবেদন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এম নাসির উদ্দিনের কাছে জমা দেয়া হয়েছে।
সকালে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন খানের (মামলা ও তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়ক) নেতৃত্বে একটি প্রতনিধি দল আবেদন নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আসেন। এসময় কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিএনপি নেতাদের মধ্যে মিজানুর রহমান, ইকবাল হোসেন, শরিফুল ইসলাম ও নাঈম হাসান উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সিইসিসহ মোট ১৯ জন কমিশনারসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেছে দলটি।
সালাহ উদ্দিন খান সাংবাদিকদের জানান, এসব নির্বাচনের সময় বিএনপি নেতাদের গুম ও নির্যাতন করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে দিনের ভোট রাতে করা হয়েছে।
বিতর্কিত এই তিন নির্বাচনকে ঘিরে বারবার অভিযোগ করার পরও তৎকালীন সিইসি ও সংশ্লিষ্টরা কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি বর্তমান নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। আমরা বিএনপির মহাসচিবের এ সংক্রান্ত চিঠি জমা দিয়েছি। যেহেতু নির্বাচন ভবন আগারগাঁও এলাকায়, সেজন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে সোমবার (১৬ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বিতর্কিত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
২০১৪ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ওই নির্বাচনে অংশ নেয়নি।
সিইসি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘রাতের ভোট’ হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও আসন পেয়েছিল পাঁচটি, জোটের হিসেবে পেয়েছিলো সাতটি।
এছাড়া সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো ভোটে অংশ নেয়নি। এ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে অধিক ভোট পড়ার হার দেখানোর অভিযোগ ওঠে।
+ There are no comments
Add yours