রাজারহাটে ব্রিজ বিচ্ছিন্ন প্রতিবছর শত শত একর আবাদি জমির ফসল নষ্ট

Estimated read time 0 min read
Ad1

ইউনুস আলী ,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ডারিয়ার তিস্তানদীর সংযোগ ব্রিজটি প্রায় দুই বছর যাবৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।এলাকাবাসী ঝুকি নিয়ে চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে এই ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল করছে।দুই বছর আগে এলাকাবাসীর নিজ উদ্যোগে এই ব্রিজটির উপর বাশের সাকো নির্মাণ করে চলাচল করছে।

ঝুকিপূর্ণ এই ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী।এই এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা সাবেক মেম্বার আবুল হোসেন ও সাবেক মেম্বার ফজল উদ্দিন জানান,১৯৮৯সালে তিস্তানদীর পূর্বতীর ঘেঁষে তিস্তাব্রীজ থেকে শুরু করে বুড়িরহাট, ডারিয়া, ঠুটাপাইকর, থেতরাই হয়ে চিলমারী পর্যন্ত বাধ নির্মাণ করেন সরকার।বাধ নির্মাণের পর নদীর সাথে সংযোগ ব্রিজ না থাকায় অতিবৃষ্টির কারণে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের অনেক জায়গা পানি জমে তলিয়ে যায়।
তৎকালীন মন্ত্রী মরহুম তাজুল চৌধুরীর স্বরনাপন্ন হন ডারিয়ার পাড়ের এলাকাবাসী।মন্ত্রী মহাদয়ের হস্তক্ষেপে কুড়িগ্রাম পাউবির তত্ত্বাবধায়নে লোহার পাইপ দিয়ে ১৯৯০সালে নিমার্ণ করা হয় ডারিয়ার এই ব্রিজটি।গত কয়েক বছরে তিস্তানদীর প্রবল ভাঙ্গন ও খোর স্রোতের অতিরিক্ত চাপে ব্রিজটি বিধ্বস্ত হয়ে যায়।এলাকাবাসী বারবার ব্রিজটি পুনঃসংস্কারের দাবী জানিয়ে আসলেও গুরুত্ব দেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ভুক্তভোগী রেজু আহমেদ আক্ষেপ করে বলেন, শুধু চলাচলের অসুবিধা নয়, তিস্তা একটি ভয়ংকর নদী ব্রিজটি উন্মুক্ত হওয়ায় যখন নদীর পানি বৃদ্ধি পায় বিশেষ করে বন্যার সময় তখন হুহু করে পানি ঢুকে কালার মাল্লীর দোলা,বগিলাগাড়ীর দোলা ও ডারিয়ার দোলায় কয়েকশত একর আবাদি জমির আমন ধান নষ্ট করে দিচ্ছে।গত কয়েক বছর থেকে এই অবস্থা।শতশত কৃষক আজ লোকসানের কারণে শুধুমাত্র ব্রিজটির সংস্কার না হওয়ায় ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।এতে কৃষকেরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তেমনি খাদ্য শষ্য উৎপাদনে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যাহত হচ্ছে।

এবিষয়ে বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন ব্রিজটি পাউবির অধীনে থাকায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কাজ করার সুযোগ নাই।

এব্যাপারে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস ডি হাসান মাহমুদের সাথে মুটোফোনে কথা হলে তিনি জানান,ব্রিজটির বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রনালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে কিন্তু তিস্তা নিয়ে সরকারের মেগা প্রকল্পের কারনে বরাদ্দটি আটকে আছে,তবে তিনি স্বীকার করে বলেন প্রতিবছর যেভাবে ফসলী জমির শষ্য নষ্ট হয়ে গেছে এবছর যাতে নষ্ট না হয় সেই ব্যবস্থা করবো।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours