ঈদের পর খুলে দেয়া হবে পর্যটন নগরী কক্সবাজার

Estimated read time 1 min read
Ad1

কক্সবাজার : বিশ্বে সবচেয়ে বড় সমূদ্র সৈকত ও দেশের সবচেয়ে বড় পর্যটন এলাকা কক্সবাজার। নোবেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারনে গত চার মাস ধরে ৪৭১ টি হোটেলে দুই হাজারের বেশি খাবারের দোকান, বার্মিজ মার্কেটসহ বিভিন্ন পর্যটন নির্ভর পাঁচ হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।বেহাল অবস্থায় দিন কাটিয়েছিল ব্যবসায়ীরা।

এদিকে নোবেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারনে কর্মহীন হয়ে পড়েছে আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট প্রায় ৫০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শতাধিক ট্যুর অপারেটরসহ দেড় লক্ষাধিক মানুষ এখন বেকার হয়ে পড়েছে।

এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগামী ঈদের পর পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম শর্ত সাপেক্ষে খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

এদিকে কক্সবাজার আবাসিক হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, করোনা ভাইরাস এর কারনে গত ৪ মাস পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ে আছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার। সেই সাথে বন্ধ রয়েছে অন্যান্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এতে ক্ষতি হয়েছে হাজার কোটি টাকা।

ঈদের পরে খুলে না দিলে সামনে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে মালিক সমিতির নেতা কাশেম বলেন, মহামারি পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের ব্যাংক ঋণ বেড়েছে।

এদিকে গত ৮ মার্চ দেশে প্রথমবারের মতো করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার ১০ দিন পর দেশে করোনায় প্রথম মৃত্যুর দিনে কক্সবাজারে পর্যটক আগমন বন্ধ করে দেয়।

এদিকে কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আয়াছুর রহমান জানান, জেলার অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে করোনাভাইরাস। পর্যটনের সাথে বার্মিজ, ঝিনুক, রেস্তোরাঁ, শুকনো খাবার, পান-সিগারেটসহ সংশ্লিষ্ট প্রায় অর্ধশত ক্ষুদ্র ব্যবসা ও নানা ধরনের পরিবহন যুক্ত। এসব ব্যবসার সাথে যুক্ত প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। ব্যবসা বন্ধ থাকায় এরা সবাই বেকার হয়েছেন।

সমুদ্র পাড়ের হোটেল কল্লোলের স্বত্তাধিকারি মোহাম্মদ আশরাফ জানান, হোটেল কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ছাড়াও বিদ্যুৎ বিল ও আনুষঙ্গিক খরচ লাখ লাখ টাকার মতো। ব্যবসা বন্ধ থাকায় ঝুঁকি নিয়ে গত ৪ মাস ভাড়া ও অন্য ব্যয় পরিশোধ করতে গিয়ে ধারদেনায় পড়তে হয়েছে।

কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (টুয়াক) সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘ ৪ মাস পর্যটন ব্যবসায়ীরা বেকার হয়ে চরম দুর্ভোগে দিনাতিপাত করছেন। করোনার কারণে এসব ব্যবসা ৪ মাসেরও অধিক সময় বন্ধ। ফলে তাদের ব্যবসার মূলধন খাওয়া শেষ।

এদিকে অধিকাংশ পর্যটন ব্যবসায়ী ধার দেনা করে সংসার চালাচ্ছেন। ঈদের পর পর্যটন ব্যবসা খুলে দেয়া হলে পর্যটন ব্যবসায়ীরা প্রাণে বাঁচবে। তারপরও সহজে এত ক্ষতি মিটানো সম্ভব নয়,’ যোগ করেন তিনি।

জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন বলেন, ‘আগামী ঈদুল আজহার পর কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসা বাণিজ্য কঠিন শর্ত সাপেক্ষে খুলে দেয়া হবে। আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্ট যে সকল প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা থাকবে এবং স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলবে শুধু সেসব প্রতিষ্ঠানকে খোলার অনুমতি দেয়া হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours