জঙ্গলে পালাচ্ছে মিয়ানমারের বাসিন্দারা

Estimated read time 1 min read
Ad1

আন্তর্জাতিক খবর ডেস্ক

সেনাবাহিনীর হাত থেকে বাঁচাতে এবার থাইল্যান্ড সীমান্তে ঢল নেমেছে মিয়ানমারের নাগরিকদের। কিন্তু কাওকে সীমান্ত পার হতে দেয় নি থাই সীমান্ত বাহিনী। যারা সীমান্ত পার হয়ে গিয়েছিল তাদেরকেও ধরে পুশ ব্যাক করা হচ্ছে। ফলে মিয়ানমারের সেসব নাগরিক জীবন বাঁচাতে এখন আশ্রয় নিচ্ছে গহীন জঙ্গলে। এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনএন।

সিএনএন’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা মিয়ানমারে বিমান হামলা শুরু করেছে। ধারাবাহিক বিমান হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। আশ্রয় নিতে থাই সীমান্তে ঢল নেমেছে মিয়ানমারের নাগরিকদের। তবে তাদের আশ্রয় দিতে নারাজ থাই কর্তৃপক্ষ। চোখ ফাকি দিয়ে যারাও ঢুকে পরেছিলেন ধরে ধরে তাদের আবার পুশ ব্যাক করা হচ্ছে।

জানা গেছে, সেনাবাহিনী বোমা হামলায় রোববার (২৮ মার্চ) মিয়ানমারে সীমান্তবর্তী কারেন রাজ্য এখন পর্যন্ত ২০০৯ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন। হাজার হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে। সীমান্ত পার হওয়া দের থাইল্যান্ড পুশব্যাক করার পর তারা সবাই এখন জঙ্গলের ভেতর আত্মগোপন করে আছেন।

গত শনিবার জান্তা সরকারের নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা গুলি করে মিয়ানমারের ১১৪ জন নাগরিককে হত্যা করেছে। সোমবার তারা গুলি করে হত্যা করেছে কমপক্ষে ১৪ জনকে। এর মধ্যে রয়েছে শিশু ও যুবক। সব মিলে নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের হাতে মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৫১০। এমন অবস্থায় মিয়ানমার ছাড়ার চেষ্টা করছে নাগরিকরা।

কেএনইউ জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর ধারাবাহিক বোমা হামলা থেকে বাঁচতে থাইল্যান্ড যাওয়ার জন্য সালউইন নদী পাড়ি দিয়েছে তিন হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে ২০০০ জনকে ফেরত পাঠিয়েছে থাইল্যান্ড। অধিকার বিষয়ক গ্রুপ কারেন ওমেন্স অর্গানাইজেশন (কেডব্লিউও) কাজ করে কারেন রাজ্যে এবং থাইল্যান্ডের শরণার্থী ক্যাম্পে। সামরিক জান্তার বিমান হামলার কথা নিশ্চিত করেছে তারা। তাদের দাবি বিমান হামলার ফলে কারেন রাজ্যের ১০ হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়েছেন। তার মধ্যে তিন হাজার অবৈধ উপায়ে থাইল্যান্ডে পাড়ি দিয়েছেন।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours