এম হেলাল উদ্দিন নিরব |চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে উপজেলার বাড়ী ভিটের সিমানার জের ধরে এক সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মহিলাসহ ৪জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা চন্দনাইশ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ৯ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় দোহাজারী পৌরসভার ঈদপুকুরিয়া এলাকায় ঘটে।
আহতরা হলো-ওই এলাকার মৃত ফয়েজুর রহমানের পুত্র সিদ্দিক আহমদ (৬৫) স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫৫) ও পুত্র নুরুল আবছার এবং খায়ের আহমদের পুত্র জালাল আহমদ (৩০)। আহতরা চন্দনাইশ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় ওইদিন সিদ্দিক আহমদ চন্দনাইশ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগপত্র ও জানা যায়, সিদ্দিক আহমদের কন্যা শামীমা আক্তার গত ৩ বছর আগে তার চাচা আবদুল জলিলের কাছ থেকে রেজিষ্ট্রেরীর মাধ্যমে ১শতক জায়গা ক্রয় করেন দখল হস্তান্তর করার পর শামীমা আক্তারের নামে নামজারী সৃজিত হয়। আবদুল জলিল মারা যাওয়ার পর তার সৎভাই খায়ের আহমদ গং ওই জায়গা দাবী করে ২০১৮ সালের ৬ এপ্রিল পিলার দেওয়ার চেষ্টা করলে শামীমা আক্তার বাঁধা দিলে ওই সময় শামীমা আক্তার (২৫) ও তার মা সুফিয়া আক্তারকে মারধর করলে ওই ঘটনায় সুফিয়া আক্তার বাদী হয়ে ওইদিন চন্দনাইশ থানায় ৪৯৭/১৮ অভিযোগনামা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আবারো খায়ের আহমদ গং পরিকল্পিতভাবে দা,খন্তা,কাঠ নিয়ে পূনরায় জোরপূর্বক ৯ এপ্রিল পাকা দেয়াল দেওয়ার চেষ্টা করলে ওইসময় সিদ্দিক আহমদ বাঁধা দিলে তাকে খন্তার আঘাতে ডানহাত রক্তাত্ত করে।
এসময় তার শৌরচিৎকারে পরিবারের সদস্য সুফিয়া বেগম, নুরুল আবছার এগিয়ে আসলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চন্দনাইশ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা প্রদান করেন। এ ঘটনায় সিদ্দিক আহমদ বাদী হয়ে চন্দনাইশ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করায় প্রতিপক্ষের লোকজন অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে এবং নিরপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানান সিদ্দিক আহমদ।
এব্যাপারে চন্দনাইশ থানার উক্ত অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আরিফুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চলাচলের পথ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে। উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এ বিষয় নিয়ে আরো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
+ There are no comments
Add yours