ইউনুস আলী | কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানা পুলিশ গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ১১বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে। সে নিজে গলায় ওড়না পিঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে কেউ হত্যা করে ফাঁসে ঝুলিয়ে দিয়েছে এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনার।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের ছুটু মৌজার হারেছ আলীর ছেলে রাব্বী(১১)কে ৭মে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গোদ্দারে ব্রীজের পশ্চিম পাশে ক্যানেলের উপরে গাছের সাথে গলায় ওড়না পেঁছানো ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। মোবাইল ফোনে তার ছেলের মৃত্যুর বিষয়ে জানতে পেরে বাবা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তার আত্মচিৎকারে পথচারীসহ বাড়ির লোকজন এসে লাশ শনাক্ত করে।
খবর পেয়ে রাজারহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সে রাজারহাট ফোর কানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র ছিল। হত্যার শিকার ওই ছেলের মাতা রেবা বেগম বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাপ-ছেলে হাঁসের পাল নিয়ে ক্যানেলে যায়। সেখানে ছেলেকে রেখে এসে বাড়িতে খড় শুকানোর কাজ করে। কে বা কারা ফোন করে ছেলে মারা যাওয়ার বিষয়ে জানালে সে ছুটে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী সাহেব আলী, ইউপি সদস্য মোসলেম উদ্দিনসহ অনেকে বলেন, লাশের গলায় লাল ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো ছিল। লাশটি মাটিতে হাঁটু গেড়ে ছিল। পাশে অর্ধেক খাওয়া অবস্থায় ভাত-তরকারী পড়ে ছিল।
ক্যানেলের ওপরদিকে শ্রমিকরা ধান কাটছিল। কিন্তু ঘটনার পর আর কেউ ঘটনাস্থলের আশপাশে ছিল না। লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু সরকার বলেন, প্রাথমিক তদন্তে লাশের গলায় ফাঁস ছিল। এ বিষয়ে ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে। আজকাল ক্যারাইম পেট্রোল, সিআইডি, ইউটিউব দেখে ছোট ছোট শিশুরাও অনেক অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। তেমনটি হতে পারে। তবে ময়নাতদন্ত রির্পোট এলেই সব বের হয়ে আসবে।
+ There are no comments
Add yours