ইউনুস আলী,কুড়িগ্রাম:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় এক ইউনিয়ন সচীবের বাড়িতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবীতে গত তিন ‘দিন ধরে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন এক স্কুল শিক্ষিকা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়নে ইসলামপুর গ্রামে। ওই গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে কচাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব দুই সন্তানের জনক আতাউর রহমান(৩৮) বাড়িতে কচাকাটা বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা এবং কচাকাটা ডিগ্রী কলেজ মােড়ের বাসিন্দা স্বামী পরিত্যাক্তা দুই সন্তানের জননী সেলিনা পারভীন (৪০) শনিবার দুপুর থেকে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবীতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। এদিক সেলিনা পারভীন বাড়িতে উঠার খবরে নিজের বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছে অভিযুক্ত ইউপি সচিব আতাউর রহমান।
শিক্ষিকা সেলীনা পারভীন জানায়, প্রায় ১ বছর ধরে ওই সচিবের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এই সম্পর্কের জেরে তাদের মাঝে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। তিনি দাবি করেন একপর্যায় চলতি বছর ১৮ মার্চ তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর কয়েক দিন ভালাে চললেও এখন তাকে এড়িয়ে চলছে আতাউর। বিয়ের স্বীকৃতি চাওয়ার পর থেকে আতাউর তাকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। এদিক এ বিষয়ে গত শুক্রবার কচাকাটা থানায় একটি অভিযােগ দিয়েছেন বলে জানান সেলিনা। কচকাটা বহুমূখী উচ বিদ্যালয়র ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মােঃ নূরুজ্জামান জানান, সকালে সেলিনা ম্যাডাম আতাউরের সাথে তার বিয়ের হওয়ার দাবী করেন। তবে তার দাবী কতটা সত্য সেটা বলতে পারবাে না।
অভিযুক্ত আতাউর রহমানের স্ত্রী মাসুদা পারভীন জানান, সেলিনা পারভীন অযৌক্তিক দাবী নিয়ে আমার বাড়িতে উঠেছে। তার বিয়ের কােন প্রমাণ পত্র নেই এবং সেটা তিনি দেখাতেও পারেননি। আমার স্বামীকে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং অর্থের লােভ সেলিনা এই কাজটি করছেন।
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম জানান, সেলিনা পারভীন সচিব আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলােভন দিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে বিয়ে না করার এমন একটি লিখিত অভিযােগ দিয়েছেন। তবে সেটি মামলা হিসেবে রের্কড হয়নি। তিনি আর আসেননি শুনেছি তিনি আতাউরের বাড়িতে উঠেছপন। এদিক আতাউরের স্ত্রী মাসুদা পারভীন থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেছে বলে নিশ্চিত করেন।
+ There are no comments
Add yours