আকাশ মারমা মংসিং, বান্দরবানঃ
অরন্যে ভরা গড়ে উঠা পার্বত্য জেলায় ফরমালিনমুক্ত ও তাজা ফলের রসালো ঘ্রাণে মেতেছে বাজার। নিত্য নতুন দিনে ভরে গেছে মধুমাসের রসালো ফলের এই বান্দরবানে। সুস্বাদু ফলের অধিক সরবরাহ থাকায় রসালো মৌসুমি ফলে ভরপুর বান্দরবান জেলা সদরের বাজারগুলোতে।
বান্দরবান বাজার ঘুরে দেখা যায়, বান্দরবান বাজারের বিভিন্নস্থানে আম, লিচু, কাঁঠাল, আনারস, জাম বিভিন্ন মৌসুমি ফল বিক্রেতারা পসরা সজিয়ে বসেছেন জমে উঠেছে কেনাকাটায়ও।
সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে লিচু তবে আম। তবে বাজার দিন রবিবার ও বুধবার হলে এসব ফলের পাশাপাশি আসে শাকসব্জিও। গতবারের তুলনায় এবার মৌসুমি ফলের ফলন ভালো হলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দাম এখনও সাধারণ ও নিম্নআয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
ওইদিকে বাজারগুলোতে প্রতিকেজি সুস্বাদু স্থানীয় জাতের আম ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে ১০০ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। ছোট-বড় সব আনারসই মিষ্টি। ছোট আনারস ৬০ টাকা জোড়া আর বড়গুলো ১০০ থেকে ১২০টাকা। প্রচণ্ড গরমে আনারস বেশ ভালোই বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারি ফল বিক্রেতা সোহেল খবর বাংলাকে জানান, পার্বত্য জেলা বান্দরবানে উৎপাদিত ফলে বিষাক্ত কোনো ফরমালিন ব্যবহার না করায় ক্রেতারা ও কিনছে নির্দ্বিধায়। ফলমুল নিত্যদিনে মত নতুন নতুন আসছে। তবে আনারস, আম ও লিচু চাহিদা অনেক বেশি। বান্দরবানে সাধারণ মানুষের কাছে এইগুলা প্রিয়। তাই মধুমাসের রসালো ফলের সরবরাহ বাড়ায় সন্তুষ্ট ক্রেতারা।
বাজারে আম কিনতে আসা ক্রেতা নুরুল আলম খবর বাংলাকে বলেন, বাজারে অনেক ভিন্ন রকমারি ফল উঠেছে। কিন্তু নতুন নতুন ফুল আগমন ঘটানো কারণে কিছু দাম প্রায় আগুনের মত। তবে কিনতে এসে বাজারে ফলের এই মজুদ দেখে সত্যিই ভালো লাগছে।
বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমা খবর বালাকে বলেন, পার্বত্য অঞ্চল বান্দরবানে এখন বাজারজুড়ে অসংখ্য মৌসুমি ফল রয়েছে। যতই সামনে এগোচ্ছে ততই সুস্বাধু পাহাড়ে হতে বাজারে চলে আসছে। তিনি আরো বলেন, দেহের রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রতিদিনই আমাদের যেকোনো একটি ফল খাওয়া প্রয়োজন। ফলের মাধ্যমে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরে পুষ্টির চাহিদা অনেকটাই পূরণ হয়।
+ There are no comments
Add yours