আকাশ মারমা মংসিং, বান্দরবানঃ মারমাদের সুপ্রাচীন ও বৈচিত্র্যময় লোকসংগীত, লোকনৃত্য ও লোকনাট্যের ঐতিহ্যকে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজিত অনলাইনভিত্তিক ‘রামা’ পাংখুং লোকনাট্যানুষ্ঠান ও মারমাদের লোকসাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১২ জুন শনিবার বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃগোষ্টির সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট আয়োজনে অনলাইন ভিত্তিক দুইদিন ব্যাপী আলোচনা সভা ও নৃত্য, সংঙ্গীত পরিবশনে মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানে সমাপ্তি ঘটে।
অনুষ্টানে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃগোষ্টির সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট পরিচালক মংনুচিং, মুখ্য আলোচক চশৈউ মারমা পাংখুং মেওয়া পাড়া, রেইছা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ক্যসিংমং মারমা মেহ্রী, বান্দবান প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু, জেলা পরিষদ সদস্য সিয়ং ম্রো, সদস্য প্রত্যুয় সত্যহা পানজি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিভাগে অনার্স ৩য় বর্ষ শিক্ষার্থীর এমেপ্রু মারমা, সাউর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যুরিজ ম্যানেজমেন্ট অনার্স ২য় বর্ষে ছাত্রী সাধনা তংচগ্যা, সহ আরো অনেকে উপস্তিত ছিলেন।
এইসময় আনুষ্ঠানে নিজেদের ঐতিহ্যবাসী সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে অংশগ্রহনে করেন,রোয়াংছড়ি, থোয়াইগ্য পাড়া, চেমীডুলু পাড়া, আমতলি পাড়া,মেওয়া পাড়া, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠি হাতি ভাঙা পাড়া বান্দরবান সদর, খেয়াং জনগোষ্ঠি দলবুনিয়া পাড়া, বাংলা লোকসঙ্গীত ও নৃত্য, বম জনগোষ্ঠি লাইমি পাড়া, ম্রো জনগোষ্ঠি রামরি পাড়া, খুমী জনগোষ্ঠি সাংচিং পাড়া রোয়াংছড়ি উপজেলা, , তংচগ্যা জনগোষ্ঠি দাঁত ভাঙ্গা পাড়া রোয়াংছড়ি উপজেলা। পরে অনুষ্ঠানে পৃথকভাবে অনলাইন ভিক্তিক নিজ নিজ ঐতিহ্য নৃত্য পরিবেশন খেলাধুলা ও সংঙ্গীত তুলে ধরা হয় ভিন্ন ভিন্ন জনগোষ্ঠি।
এইদিকে কালের পরিবর্তনে কারনে সংস্কৃতিক তুলে ধরে রাখতে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃগোষ্টির সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউটে উদ্যেগে বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ৩ মাস ব্যাপি প্রশিক্ষন দেওয়া হয়। যাতে আদিকাল হতে রিতিনীতি ধরে আসা সংস্কৃতিক যেন হারাতে না বসে। তাদের মতে সংস্কৃতিকে হারানো মানে নিজেদের জাতিকে নাম মুছে ফেলা। তাই এই প্রক্ষাপটে বান্দরবান অনলাইন মাধ্যমে লোকসংঙ্গীত লোকনৃত্য আয়োজন করানো হয়।
এইসময় অতিথিরা বলেন, কিছু কিছু জাতিদের এখনো নিজেদের সংস্কৃতিক ধরে রাখতে পারলেও মারমা সম্প্রদায়ের তা এখন তা বিলুপ্তি সম্মুখীন। পুর্বে পুরুষের শুরু হতে যে সংস্কৃতিকে হাত ধরে এসেছে আজ তা বর্তমানে এসে কালের পরিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে তা ধরে রাখা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন । আরো বলেন, সামনে আরো প্রবীনদেরকে নিয়ে নিজ নিজ ঐতিহ্য সংস্কৃতিকে নিয়ে উপস্তিত হওয়া পরিকল্পনা রয়েছে । তবে সরকারে নির্দেশনানুযায়ী করোনা মহামারিতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে অনলাইন ভিত্তি দুইদিন অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়েছে। তাই সবাইকে এগিয়ে আসা আহব্বাদ জানান।
উল্লেখ্য, ১১ ও ১২ দুইদিন ব্যাপ্তি ক্ষুদ্র নৃগোষ্টির লোকসংস্কৃতি ও লোকসগীত ২০২০ এর আজ সমাপ্তি ঘটে।
+ There are no comments
Add yours