আকাশ মারমা মংসিং, বান্দরবানঃ পার্বত্য জেলা বান্দরবানে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা ও বাজারের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন ও অপরাধ নিয়ন্ত্রনে রাখতে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে বান্দরবান শহরকে। ইতোমধ্যে বান্দরবান বাজারের বিভিন্ন পয়েন্ট ও পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে বান্দরবান শহরকে নিয়ন্ত্রনে স্থাপিত হচ্ছে ৬২ টি ক্যামেরা।
জানা যায়, বান্দরবান বাজারের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে বাজারের ব্যবসায়ী সমিতি দীর্ঘ দিন ধরে দাবী জানিয়ে আসছিল বান্দরবান বাজারকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসতে।
তাদের দাবীর প্রেক্ষিতে প্রথমে শুধুমাত্র বান্দরবান বাজারকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার কথা থাকলেও পরে পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পুরো পৌর এলাকাকে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান প্রগেসিভ আইটি সলিউশন।
ইতোমধ্যে শহরের গুরুত্ব পূর্ণ প্রধান সড়ক ও বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার শুভাশীষ দাশ বলেন পৌরসভা এলাকায় বিভিন্ন পিলারে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে, আশাকরি কয়েকদিনের মধ্যে সিসি ক্যামেরার সিস্টেম পুরোদমে চালু হবে। সিসি ক্যামেরা স্থাপিত হলে বান্দরবোন শহরে পর্যটকদের যেকোন ধরনের হয়রানি বন্ধ এবং বাজারের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে থাকবে বলে আশা করেন পর্যটন সংশ্লিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
বান্দরবান চৌধুরী মাকেট ব্যবসায়ী আবু ছালেহ চৌধুরী বলেন এর ফলে বাজারে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ইভটিজিং এর মত ঘটনা অনেকটাই কমে যাবে। হোটেল ব্যবসায়ী ইমরান উদ্দীন বলেন পৌর এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আসলে পর্যটকদের নিরাপত্তা বাড়বে কেউ পর্যটকদের হয়রানি করার সাহস পাবে না। পর্যটকরা নিরাপদে সব জায়গায় ঘুরে বেড়াতে পারবে।
এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মো. ইয়াছির আরাফাত বলেন, পার্র্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির নিদের্শনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে বান্দরবান পৌর এলাকাকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসার কার্যক্রম চলছে প্রাথমিক পর্যায়ে ৬০টি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে। আশা করি চলতি মাসের মধ্যে আনুষ্টানিক উদ্বোধন শেষে ক্যামেরাগুলোর কার্যক্রম শুরু করা হবে। কাজ শেষ হলে নিয়ন্ত্রনের জন্য এটি পুলিশ প্রশাসনকে হস্তান্তর করা হবে। এর ফলে বান্দরবান বাজার ও পর্যটকদের নিরাপত্তা অনেক খানি বাড়বে।
পুলিশ সুপার জেরিন আখতার বলেন, বান্দরবান পর্যটন শহর পয়টনের বিকাশে পর্যটকদের নিরাপত্তা একটি বড় ব্যাপার। বান্দরবান শহরটি খুব ছোট যেকোন পর্যটন স্পটে যেতে মাত্র দুটি প্রধান সড়ক রয়েছে এ দুটি সড়ক সিসি ক্যামেরার আওতায় আসলে পর্যটকদের নিরাপত্তা মনিটরিং অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। পর্যটকরাও স্বাচ্ছন্দে যে কোন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে পারবে। এছাড়াও বাজারে চুরি ছিনতাই অনেকটা কমে যাবে এতদিন কোথাও কিছু ঘটলে তা অনুসন্ধানে এতদিন পুলিশকে বেশ বেগ পেতে হতো, তবে এবার পৌরসভা এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানোর ফলে অপরাধী দ্রুত শনাক্ত করা সহজ হবে এবং ডিজিটাল মনিটরিং এর মাধ্যমে শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
+ There are no comments
Add yours