খবর বাংলা ডেস্ক ::: চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও মুসলিম ইনস্টিটিউট হলকে ঘিরে সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তাবায়নাধীন সাংস্কৃতিক বলয় প্রকল্পে চলমান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে আপাতত বিকল্প জায়গায় বর্তমান শহীদ মিনার অস্থায়ীভাবে স্থানান্তরের জন্য স্থান নির্ধারনের বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ আজ সকালে সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে তাঁর টাইগারপাসস্থ কার্যালয়ে সাক্ষাত করেন।
সাক্ষাতকালে মেয়র বলেন, শহীদ মিনার ও মুসলিম ইনস্টিটিউট হলকে ঘিরে প্রত্যাশিত একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবায়নের চলমান প্রক্রিয়ায় পূর্বের মূল অবকাঠামো অন্যত্র সরিয়ে নিতে হবে। এখানে শহীদ মিনারের বর্তমান অবস্থানটিও পড়ে। শহীদ মিনার বাঙালির আবেগের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। চলমান সংস্কৃতিক প্রকল্প বাস্তবায়ন শহীদ মিনার প্রধান অনুষঙ্গ। এ শহীদ মিনারকে ঘিরেই চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক বলয়ের মূল প্রেরণা। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বার্থেই শহীদ মিনারকে আপাতত কোথায় স্থানান্তর করা হবে সে ব্যাপারে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক কর্মী, সুধী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, শহীদ মিনারকে ঘিরে দিবসমূলক আনুষ্ঠানিকতা চলতে পারে। সে দিকে খেয়াল রেখেই প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেনচট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, গণপূর্ত বিভাগের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ প্রমূখ।
হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ বকেয়া সাড়ে ৬ লাখ টাকা আদায়
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আজ রাজস্ব সার্কেল ২ ও ৭ এর আওতাধীন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। সিটি কর্পোরেশনের বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স ফি আদায়ের লক্ষ্যে রাজস্ব সার্কেল-২ এর আওতাধীন আওতাধীন পূর্ব ষোলশহর এলাকায় হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ ৩ লাখ ৮০ হাজার ৫শত ৯০ টাকা ও ট্রেড লাইসেন্স বাবদ ১ লাখ ২৭ হাজার ৬০টাকা আদায় করা হয। রাজস্ব সার্কেল-৭ এর আওতাধীন রামপুর এলাকায় হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ ৪৬ হাজার ৯শত ৫০ টাকা ও ট্রেড লাইসেন্স বাবদ ৮৯ হাজার ৫শত ৫০ টাকাসহ সর্বমোট হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ ৪ লাখ ২৭ হাজার ৫শত ৪০ টাকা এবং ট্রেড লাইসেন্স বাবদ ২ লাখ ১৬ হাজার ৬শত ১০টাকা আদায় করা হয়।
উভয় অভিযানে ট্রেড লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা পরিচালনা দায়ে নয়টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা রুজু পূর্বক ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সিটি কর্পোরেশনের বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স ফি আদায়কল্পে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌসের নেতৃত্বে পৃথক পৃথক ভবে এ মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেটগণকে সহায়তা করেন সিটি কর্পোরেশনের সংশি¬ষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।
+ There are no comments
Add yours