আকাশ মারমা মংসিং, বান্দরবান ::: বান্দরবানে টানা বৃষ্টিপাতে ঐতিহ্যবাহী সাঙ্গু নদী বহমান যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। গেল গত কয়েক মাস আগে পাথর উত্তোলনে সাঙ্গু নদীসহ শুকিঁয়ে গেছে পাহাড়ের ঝিড়ি, ঝর্ণা যেখানে নিত্যপ্রয়োজনে ও গোসলের জন্য ঝিড়ি বা নদীর মাঝখানে গিয়ে পানির খোঁজ পাওয়া কঠিন হয়ে যেতো। সেখানে এখন টানা বৃষ্টিতে শাখা প্রশাখা, ঝিড়ি ঝর্ণা গুলো হতে আসছে থৈ থৈ পানি আর পানি। তবে বর্ষাকাল শেষে হলে পানি শুকাবে কিনা তা নিয়ে অনেকে সঞ্চয় কেটে উঠেনি এখনো।
স্থানীয়রা জানান, কিছুদিন আগে দুর্গম এলাকা রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচিসহ সদর নদীর ঘাট হয়ে উপজেলা সদরে নৌকা প্রবাহ দিয়ে যাওয়া যেতনা। অথচ এই টানা বৃষ্টি কারণে নৌপথ দিয়ে বিভিন্ন উপজেলায় যেতে ইঞ্চিন চালিত নৌকা ৫-৬ জন সাঙ্গু নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে এখন যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। তবে প্রবল বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পাহাড় ধস ও নদী সংলগ্ন বাড়িঘর দোকানপাট, কৃষি খামার নদীর গর্ভে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরো জানা যায়, বৃষ্টির কারণে উজান থেকে ঢলের সঙ্গে নেমে আসা মাটি ও বালুতে তলদেশ ভরাট হয়ে নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা কমে গেছে। আর প্রভাবশালীরা নদীর তীর দখল করে চলেছে। বনভূমি উজাড় এবং জলধারার পাথর তুলে পাচার করা ফলে কোথাও কোথাও নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে ব্যাপক ভাঙনের কবলে পড়ছে। আবার বর্ষায় সামান্য বৃষ্টিতে বন্যা হচ্ছে এবং শুকনো মৌসুমে পানির সংকট দেখা দিচ্ছে। শুকনো মৌসুমে স্থানীয় এলাকাবাসী নিত্যপ্রয়োজনে ও গোসল জন্য ঝিড়ি বা সাঙ্গু নদীর মাঝখানে গিয়েও পানির খোঁজ পাওয়া কঠিন হয়।
তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বহুমুখী টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হলে সাঙ্গু নদীর পানি ধারণক্ষমতা বেড়ে যাবে, শাখা-উপশাখা সহ নদীর ভাঙন কমবে, পাহাড় থেকে নেমে আসা জলাধারাগুলো রক্ষা করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে মরে যাওয়া জলধারাগুলো পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব হলে নদীর গতি প্রবাহও আগের মতো ফিরে পাবে বলে মনে করছেন স্থানীয় বিশেষজ্ঞ মহল।
+ There are no comments
Add yours