এম হেলাল উদ্দিন নিরব, পটিয়া ::: দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার পৌর সদরের বৈলতলী রোড় পশু হাসপাতালের সামনের এলাকায় ফেরদৌসী কাজল (৩৮) নামের এক মহিলার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, তিনি ঠাকুরগাঁও জেলার আবু সৈয়দের স্ত্রী এবং উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ভাটিখাইন গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে।
এদিকে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬ টায় পটিয়া উপজেলার পৌর সদরের ৭ নং ওয়ার্ডের বৈলতলী রোড এলাকায় কবির আহমদ ড্রাইভারের ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
ভবনটির তৃতীয় তলায় একটি কক্ষে ফ্যানের সাথে গলায় উড়না জড়িয়ে আত্মহত্যা করে। বুধবার সন্ধ্যায় এলাকাবাসী থানায় খবর দিলে পটিয়া থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: নাজিয়া তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে পুলিশ নিহতের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরন করে। নিহতের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে পটিয়া পৌর সদরের ওই বাসায় বসবাস করে আসছে।
নিহতের মেয়ে নীলা দাবি করেন, ‘তার মা আগে থেকেই একটু রগচটা ছিলো। কিছুদিন ধরে তিনি মানসিক যন্ত্রনায় ভূগছিলেন। এক বছর আগে তার বাবার সাথে মায়ের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়। গত মঙ্গলবার রাতে ঘুমের ঔষধ খাওয়ায় আমরা মাকে পটিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসায় নিয়ে আসি। বুধবার তিনি ফ্যানের সাথে ওড়না পেছিয়ে আত্বহত্যা করে। তখন আমরা বাসায় ছিলাম না।’
স্থানীয়রা জানান, আত্মহত্যার আগে তাদের মা ফেরদৌসী কাজল বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এক পর্যায়ে বলেন তার রুমের বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দিতে। মেয়ে কিছু না বুঝেই ঘরের বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দেন। ঘরের দরজা দীর্ঘক্ষন পরও না খোলায় স্থানীয় লোকজন ও পুলিশকে খবর দেন। পরে পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদারসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহিনীর লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত উদ্ধার করেছে।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানিয়েছেন, কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা এখনো পুলিশ নিশ্চিত নয়।
+ There are no comments
Add yours