আকাশ মারমা মংসিং ,বান্দরবান সংবাদদাতা :::
পার্বত্য জেলা “বান্দরবান” নামটি অন্য রকম হলেও পর্যটনের দিক দিয়ে হিল কুইন নামে পরিচিত। যেখানে আকাঁবাকাঁ মেথো পথ ধরে বয়ে যাওয়া দুর্গম এলাকা যা পর্যটকদের কাছে একটি দর্শনীয় স্থান বলে বিবেচিত। পার্বত্য জেলা বান্দরবানে যেসব দর্শনীয় স্থানে হাজারো পর্যটক আগমন ঘটে প্রায় ৯০% মত। আগমন আসার পর্যটকরা ছুটেঁ বেড়াত একস্থান হতে অন্যস্থানে যেসব স্থানে এক পলকে পাহাড়-পর্বত, নদ-নদী, ও ঝিরি-ঝর্ণা ও আদিবাসীদের জীবন যাপন বৈষম্যেয় গুলো শুধু দেখা মিলবে। কিন্তু মহামারি করোনা ভাইরাসে প্রাণঘাতীক মৃত্যু মিছিল বয়ে যাওয়াই সেই পর্যটন স্থানগুলো প্রাণ বিনাসে ধমকে যায়। বন্ধ হয়ে যায় হোটেল রিসোর্ট, পর্যটন ও সকল প্রকার যানবাহন। যেসব স্থানে মানুষের আনাগনা সমাগম ছিল সেই সবস্থানে আজ নীরবতা।
বান্দরবান শহর থেকে ৯০ কিমি. দুরে অবস্থিত দুর্গম পাহাড়ের জনপদে অন্তর্গত থানচি উপজেলা রেমাক্রী ইউনিয়ন। সেই ইউনিয়নে জনসংখ্যা প্রায় ৮ হাজার ও বেশি জনগোষ্ঠি বসবাস । সেই জনগোষ্ঠি কাছে এখনো পৌছায়নি প্রাণঘাতীক করোনা ভাইরাস। মুক্ত আকাশে গানচিল মত উড়ে বেড়াচ্ছে রেমাক্রি ইউনিয়নে প্রত্যেকটি গ্রামাঞ্চলে সাধারণ মানুষ। বান্দরবানে করোনা আক্রান্ত হলেও সেই করোনা পৌছাতে পারেনি রেমাক্রী ইউনিয়নে গ্রামে বাসিন্দা কাছে। তাদের মতে করোনা ভাইরাস বাইরে মানুষ বা পর্যটক প্রবেশ না ঘটলে তা কখনো ছুইবেনা।
রেমেক্রী পাড়া বাসিন্দা উক্যমং মারমা (২৮) জানান, সব গ্রামে করোনা সম্পর্কে অনেকেই ধারণা নাই। আমরা যুবসমাজে যারা শিক্ষিত আছি সবসময় করোনা সম্পর্কে ধারণা দিয়ে যাচ্ছি। তবে এই পর্যন্ত রেমাক্রি ইউনিয়নে কোন গ্রামে মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি।
রেমক্রী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান মুইশৈ থুই মারমা (৫৭) জানান, গেল বছরে এজকন করোনা আক্রান্ত হয়েছিল। সেই করোনা আক্রান্ত রোগী বান্দরবান হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে যায়। গ্রামে মানুষ জুম চাষ ও জমি কাজ করার কারনে জ্বর, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড, পাতলা পায়খানা হয়, পরর্বতিতে এন্টিবায়োটিক ওষুধ খেয়ে তা সেরে যায়। তিনি আরো জানান, এই পর্যন্ত করোনা ভাইরাস এখনো রেমাক্রী ইউনিয়নে এসে পৌছায়নি। ভবিষ্যতে করোনা ভাইরাস পৌছাবে কিনা তা বলা মুশকিল। কিন্তু পর্যটক না আসলে আশা করি করোনা ভাইরাস পৌছাবেনা। এই ভাইরাসে জন্য আমরা ধর্মে অনুষ্ঠান বন্ধ করে রেখেছি । এমনকি বাজারে মানুষ সমাগন হলে সতর্কতা দিয়ে থাকি।
থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউ এন ও) আতাউল গণি ওসমানী জানান, সরকারে প্রজ্ঞাপন নির্দেশনানুযায়ী পর্যটক কেন্দ্র গুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্ট বাজারে সমাগম হলে তা মাইকিং মাধ্যমে সর্তকজারী করা হয়েছে। থানচি উপজেলায় করোনা ভাইরাস পৌছলেও তা ভবিষ্যতে আরো বাড়বে কিনা তা কোন নিশ্চয়তা নাই। তবে উপজেলা পক্ষ থেকে অবশ্যই সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। সেই সাথে সবাইকে মাস্ক পরিধান করা জন্য ও বলা হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours