নূরুল আবছার নূরী ::: ফটিকছড়িতে লকডাউন অমান্য করে দোকান খোলার দায়ে ১১ ব্যবসায়ীকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। লকডাউন ঘোষণার তৃতীয় দিন শুক্রবার (২৫ জুন) দিনভর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় অভিযান চালিয়ে ১১ জন দোকানীকে আটক করে পুলিশ। পরে সন্ধ্যায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিসান বিন মাজেদ মোবাইল কোর্ট বসিয়ে আটক ব্যবসায়ীদের অর্থদণ্ড প্রদান আদায় করে মুচলেকার মাধ্যমে ছেড়ে দেন।
এতে- বিবিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী আবু বকরকে ২০ হাজার, রফিকুল ইসলামকে ১৫ হাজার, দিদারুল আলম, জয়নাল আবেদীন, এনামুল হক, জাফর আহমদ ও সাজ্জাদ হোসেন আকিবকে ১০ হাজার করে এবং নাজিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী তৌহিদুল আলমকে ১২ হাজার, আলাউদ্দিনকে ১৫ হাজার, এমদাদুল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা ও রাজীব কুমার ধরকে ৩ হাজার সহ ১১ ব্যবসায়ী থেকে মোট ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিসান বিন মাজেদ বলেন, করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়াই ফটিকছড়িতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। অনেকের মধ্যে লকডাউন মানার ক্ষেত্রে উদাসীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রথম দিকে আমরা জনসাধারণকে সচেতন করেছি। আজ লকডাউন অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় ১১ ব্যবসায়ীকে মোট ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কাল থেকে আমরা আরো কঠোর হবো। লকডাউন অমান্যকারীদের আর জরিমানা নয়, এখন থেকে কারাদণ্ড প্রদান করা হবে।
এর আগে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ২৩ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত আট দিনের জন্য ফটিকছড়ি উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। ২২ জুন বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সমন্বয় সভায় এ ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান। এ সময় ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক এবং মুদি দোকান ও কাঁচা বাজার সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক।
+ There are no comments
Add yours