লামায় টানা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

Estimated read time 1 min read
Ad1

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বান্দরবানের লামায় টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলের প্রবল রাতে বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস ও খালের ভাঙ্গনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যার মধ্যে সবচেয়ে রয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদসহ অসংখ্য ঘরবাড়ি।
৩০ জুন, বুধবার রাত ১০ টা থেকে ১ জুলাই বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টা পর্যন্ত টানা বর্ষণের ফলে এই ক্ষয়ক্ষতি হয়।

জানা যায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রায় ৫০টিরও বেশি স্থানে ছোট বড় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে বড় কোন দূর্ঘনা না ঘটলেও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের কারনে মাতামুহুরী নদী এবং পাহাড়ি ছরা খালগুলোর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। ফলে খালের পার্শ্ববর্তী কমিউনিটি ক্লিনিক ও মসজিদসহ অসংখ্য ঘরবাড়ি হুমকীর মুখে পড়েছে।

কিছু কিছু ঘরবাড়িতে পানি এপাশ দিয়ে ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বের হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। আচমকা পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র। সরেজমিনে আজিজনগর ইউনিয়নের উত্তরপাড়াস্থ কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ি ঢল থেকে সৃষ্ট হিমছড়ি খালের প্রবল সিসির গাইড ওয়ালটি ভেঙ্গে পানিতে তলিয়ে গেছে এবং মুলভবনটির তলায়ও ফাটল ধরেছে। যে কোন মুহুর্তে ভবনটিও ধসে পড়বার সম্ভাবনা রয়েছে।

স্থানীয়দের মতে, ক্লিনিকের পাশের ছড়াখালটিকে বেপরোয়া দখলের কারনে পানির বাধাগ্রস্ত হয়ে এ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। লামা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরী বলেন,আজিজনগর ইউনিউনের উত্তরপাড়াস্থ এই সিসিটা এই এলাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন প্রায় দশ গ্রামের মানুষ এই সিসি থেকে সেবা নিয়ে থাকে। তাই দ্রুত সংষ্কারের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

অপরদিকে পাহাড়ী ঢলের কারনে হুমকির মুখে পড়েছে হিমছড়ি পাড়া জামে মসজিদটিও। পাহাড়ি ঢলের কারনে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে মসজিদের মাঠে। তাছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রাস্তাগুলোর অবস্থাও বেহালে পরিণত হয়। রাস্তার ওপর দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি চলাচল করায় তলিয়ে পড়ছে উপজেলার বিভিন্ন স্থানের পাকা ও কাঁচা রাস্তাগুলো।

মূলত- পাহাড়ের পাহাড়ের পাদদেশে ঘর নির্মান, রাস্তার পাশের ড্রেইনগুলো পর্যাপ্ত পানি চলাচলের পথে বাধা এবং ছড়াখালগুলোর বেপরোয়া দখলের কারনে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসীরা।

আজিজনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জসিম উদ্দীন বলেন, উপজেলার মূলতঃ আমার ইউনিয়নের বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাছাড়াও ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যানকে তাৎক্ষনিকভাবে জানানো হয়েছে।

লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে ত্রানের ব্যবস্থা চলমান রয়েছে এবং উপজেলার প্রত্যেকটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদেরকে দূর্যোগ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রেজা রশিদ বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ কমিউনিটি ক্লিনিক এবং মসজিদসহ এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পাহাড়ের পাদদেশে নির্মিত ঘরবাড়ি গুলোর ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours