
নূরুল আবছার নূরী ::: এ সময়ে উপজেলার উত্তরাঞ্চলে উৎপাদিত মৌসুমি ফল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানেও নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে ফটিকছড়িতে টানা লকডাউনের কারণে এসব ফলমূল বাজারজাত করা গেলেও ক্রেতার অভাবে অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন চাষীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বাগানবাজার, দাঁতমারা, নারায়ণহাট, ভূজপুর ও হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি বাজারে ড্রাগন, আম, কাঁঠাল, আনারস, পেয়ারা, লেবুর পাশাপাশি বর্ষাকালীন নানাবিধ সবজি বিত্রির জন্য তোলা হলেও বাজার একেবারে ক্রেতাশূন্য। অথচ বছরের এ সময়ে বাজারগুলোতে স্থানীয় ক্রেতার পাশাপাশি আশেপাশের জেলা-উপজেলাগুলোর বেপারীরা এসে সেগুলো কিনে নিয়ে যেতেন কিন্তু বিগত এক সপ্তাহ ধরে ফটিকছড়িতে টানা লকডাউনের কারণে এসব ফল ক্রেতার অভাবে পঁচে যাচ্ছে। অথচ ফল বাণিজ্য ঘিরে এখানে প্রতি মৌসুমে শতকোটি টাকার লেনদেন হয়ে থাকে। গেল লকডাউনে সীমিত পরিসরে বেচাকেনা করা গেলেও এবার কড়া লকডাউনের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।
এ বিষয়ে স্থানীয় একাধিক পাইকারী বিক্রেতার সাথে কথা হলে তারা বলেন, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করেছি। কিন্তু একজন ক্রেতাও আসেনি। এতগুলো ফল ঘরে নিয়ে কী করবো। ফলগুলো এত বেশী পাকা, পরদিন যে বাজারজাত করবো তারও কোনো উপায় নেই। এমতাবস্থায় আমরা ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হোসাইন মুহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, পণ্যপরিবহন করার ক্ষেত্রে আমরা প্রশাসনকে সহযোগীতার অনুরোধ জানিয়েছি, বিশেষ করে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মৌসুমি ফলমূল ও শাকসবজি যাতে সহজে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে আনা-নেওয়া করা যায় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
+ There are no comments
Add yours