মানুষের ভালবাসা প্রমাণ করে আমি সফল: নাছির

Estimated read time 1 min read
Ad1

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পঞ্চম নির্বাচিত পরিষদের শেষ কর্মদিবসে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, ৪১ জন কাউন্সিলর ও ১৪ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলরদের সম্মানে চসিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রীতি সম্মিলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৫ আগষ্ট)  থিয়েটার ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই প্রীতি সম্মিলনে চসিকের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ কাউন্সিলররা মেয়রের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। পুরো অনুষ্ঠান মঞ্চ জুড়ে সৃষ্টি হয় আবেগঘন পরিবেশ। এমন আবেগঘন পরিবেশ দেখে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনও উচ্ছসিত হয়ে পড়েন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দাঁড়িয়ে উচ্ছসিত কণ্ঠে তিনি বলতে শুরু করেন, মানুষের জন্য কাজ করতে পারা অনেক সৌভাগ্যের ব্যাপার। প্রত্যেকের উচিত এমন সুযোগকে কাজে লাগানো। আমি মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করে সেই সুযোগকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। দলীয় বা বিদলীয় প্রত্যেক কাউন্সিলর,সংরক্ষিত কাউন্সিলরকে আমি সমান চোখে দেখেছি। আমি বুঝেছিলাম নগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে সকলের ঐক্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। চসিকের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আমার কাছে শুধু প্রশাসনিক নয় ব্যক্তিগত ভাবে সমান সম্মান মর্যাদা পেয়েছেন। আজকের অনুষ্ঠানে কাউন্সিলর থেকে শীর্ষ কর্মকর্তারা বক্তব্যে আবেগাপ্লুত অশ্রসিক্ত হয়ে পড়েছেন। এই আবেগ,এই চোখের জল একমাত্র ভালবাসারই বহিঃপ্রকাশ। এটাই আমার সফলতা। মানুষের, চসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি তাতে মনে করি আমি সফল। আত্মতৃপ্তি নিয়ে শেষ কর্ম দিবস অতিবাহিত করছি।

তিনি বলেন, আমরা জন প্রতিনিধি। নির্বাচনে হারতেও পারি, জিততে পারি। একজন রাজনীতিকের কাছে নির্বাচন বা চেয়ার মুখ্য বিষয় নয়। রাজনীতিকের মূল উদ্দেশ্য মানুষের পাশে থাকা। তাদের সুখ দুঃখের ভাগিদার হওয়া। তাদেরকে আপন করে নেয়া। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একজন কর্মী হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্যই আমি কাজ করি আমি।

নাছির আরো বলেন, চাকরি প্রবিধান মালা ৩১ বছর ধরে ঝুলে ছিল। সাড়ে তিন বছর ধরে অনেক প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে আমি প্রবিধান মালা অনুমোদন করিয়েছি। সেখানে ১০৪৬টি পদে পদায়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ৯ হাজারটি পদ সৃষ্টি করে আরো একটি অর্গানোগ্রাম মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেটিও অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পদোন্নতিতে আগে গ্রেডেশনের কোন বালাই ছিল না। আমি গ্রেডেশন সিস্টেম চালু করেছি। এখন থেকে গ্রেডেশন অনুযায়ীই পদোন্নতি হবে।

বিগত পাঁচ বছরে যে উন্নয়ন বা সফলতা তা আমি একার পক্ষে সম্ভব ছিল না। এটি সম্ভব হয়েছে আমার কাউন্সিলর,সংরক্ষিত কাউন্সিলর এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে। চসিক পরিবারের সহযোগিতার কারণে এই সফলতা অর্জন করতে পেরেছি।

চসিকের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা মো সামসুদ্দোহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, কাউন্সিলর সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু মো. আযম,সালেহ আহমদ চৌধুরী,ইসমাইল বালি,আনজুমান আরা বেগম,হাসান মুরাদ বিপ্লব, চসিক সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী,প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম,প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া,প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন আহমেদ,প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী,প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম চৌধুরী, ইউএনডিপি’র টাউন ম্যানেজার সরোয়ার হোসেন খান,চসিক সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours