আমির হোসেন, ঝালকাঠি ::: ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার চেঁচরীরামপুর ইউনিযনের মহিষকান্দি গ্রামে একটি নির্মানাধীন বাড়ির নতুন সেপটি ট্যাংকের সেন্টারিং খুলতে গিয়ে সিমিন্টের বিষক্ত গ্যাসে রাজমিস্ত্রীসহ দুই জনের মৃত্যু ও একজন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ৬ জুলাই) সকাল ৯টায় মহিষকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাজমিস্ত্রী আসাদুল ও প্রতিবেশি যুবক মজনুর মৃত্যু হয়, অন্য প্রতিবেশি যুবক শুভ গুরতর অসুস্থ্য হয়ে পড়েন।
প্রতক্ষ্যদর্শী ও মৃত্যু আসাদুলের স্বজনরা জানান, মহিষকান্দি গ্রামের মিরাজ খানের নির্মানাধীন বাড়ির নতুন সেপটি ট্যাংকির সেন্টারিং মঙ্গলবার সকালে রাজমিস্ত্রী আসাদুল খুলতে জান। ট্যাংকির মূখ খুলে ভিতরে ঢুকে সেন্টারিং এর কাঠ খুলতে গেলে বিষক্ত গ্যাসে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এ অবস্থা দেখে বাড়ির মালিকের ভাই পলাশ খান প্রতিবেশি যুবক মজনু ডেকে নিয়ে আসেন রাজমিস্ত্রীকে উদ্ধার করার জন্য।
মজনু মিস্ত্রীকে উদ্ধার করতে ট্যাংকির ভিতরে ঢুকলে সেও অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এ সময় অন্য প্রতিবেশি যুবক শুভ দুই জনকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে আসে সেও অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। তিনজনকে উদ্ধার করে পাশ্ববর্তী জেলা পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে মজনু ও আসাদুলের মৃত্যু হয়। শুভকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
রাজমিস্ত্রী আসাদুলের (৩০) বাড়ী ভান্ডারিয়া উপজেলার গাজীপুর গ্রামে। মজনু (২৫) মহিষকান্দি গ্রামের শাহাদতের ছেলে ও শুভ খান (২২) একওই গ্রামের ইদ্রিস খানের ছেলে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। মরদেহ ভান্ডারিয়া হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়না তদন্তের পরে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এলকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের ধারনা নির্মানাধীন সেপটি ট্যাংকিটির উপরের অংশ পুরোটা ঢেকে ডালাই দেয়ার কারনে ট্যাংকির ভিতরে সিমেন্টের বিষক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হয়েছে। আজ ট্যাংকির মুখ খুলে ভিতরে ঢুকে সেন্টারিং এর কাঠ খুলতে গেলে গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে তাদের মৃত্যু হয়।
কাঠালিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় জানান, সেপটি ট্যাংকির কাজ করতে গিয়ে বিষক্ত গ্যাসে দমবন্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
+ There are no comments
Add yours